TRENDING:

কলেজ না অন্য কারও! জমি নিয়ে টানাটানি, বুলডোজার চলতেই ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ৫০ ব্যবসায়ীর, কী হবে কেউ জানে না

Last Updated:

দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার পাশে দোকানদারি করছেন আনুমানিক প্রায় ৫০ জন ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা। তবে এবার তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শুরু হয়েছে টানাটানি

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
শান্তিপুর , নদিয়া, মৈনাক দেবনাথ: সামনে থাকা শান্তিপুর পৌরসভার বুলডোজার থেকে সদ্য ধাক্কা খাওয়া পর পেছনে শান্তিপুর কলেজের বুলডোজারের ধাক্কা! পুনর্বাসন ছাড়াই দুই কর্তৃপক্ষের মাঝে যাঁতাকলে পড়ে নদিয়ার শান্তিপুর কলেজ সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসা আনুমানিক প্রায় ৫০ জন দোকানদার।
advertisement

শান্তিপুর কলেজের সামনে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার পাশে দোকানদারি করছেন আনুমানিক প্রায় ৫০ জন ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা। যাদের মধ্যে কারও ছোটখাটো বস্ত্রের দোকান, কারও বা চায়ের দোকান, কারও লুচি ঘুগনি ফাস্টফুডের দোকান রয়েছে। এরা প্রত্যেকেই দীর্ঘদিন ধরেই এই স্থানে অস্থায়ীভাবে দোকানদারি করছেন। এই দোকানদারেরা যখন এই জায়গায় অস্থায়ীভাবে বসেন সেই অর্থে তখন কোনও রকম প্রতিবাদ বা কোন কিছুই হয়নি। পরবর্তীকালে যখন সারা রাজ্য জুড়েই চলছে হকার উচ্ছেদ তখন তাদেরকে ওই স্থান থেকে তুলে দেওয়ার জন্য শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান উপস্থিত হন, যদিও যারা আজকে অভিযোগ করছেন যে সমস্ত দোকানদাররা তারা বলছেন সেই সময় তাদের বলা হয়েছিল বেশ খানিকটা পেছনে সরে যেতে তবে কোনওভাবেই উঠে যেতে বলা হয়নি। পেছনে মানে শান্তিপুর কলেজের সুবিশাল জায়গা রয়েছে।

advertisement

আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকা তুলতে গিয়ে হাই-ভোল্টেজ শক! স্বাধীনতা দিবসের সকালেই প্রাণ গেল শিক্ষকের

View More

যদিও বিতর্কিত জায়গা নিয়ে দোকানদারদের দাবি, এই অংশটি কখনওই নদিয়ার শান্তিপুর কলেজের নয়। এই জায়গাটি কোনও একটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। যার কাগজপত্রও তাদের কাছে রয়েছে। সেই জায়গাটি শান্তিপুর কলেজ কর্তৃক রক্ষিত হবে এবং দেখভাল হবে এই মর্মে সেই সময় আজ থেকে বহু বছর আগে তার নথিপত্র করা হয়েছিল। সুতরাং শান্তিপুর কলেজের জায়গা এটা নয় শুধুমাত্র তাদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এই জায়গার এবং রক্ষণাবেক্ষণের দিক থেকেও তাদের জন্য কোনওরকম সমস্যা হয়নি, তার কারণ বিগত দিনে শান্তিপুর কলেজ তাদেরকে দোকান করে একটা ভাড়ার ব্যবস্থা করতেই পারত।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

কিন্তু সম্প্রতি সারা রাজ্যব্যাপী যখন দোকানদারদের ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য উচ্ছেদ করা হচ্ছে তাদেরকেও তখন উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে পুনর্বাসন ছাড়াই অর্থাৎ শান্তিপুর পৌরসভা থেকে তাদের জন্য পুনর্বাসনের কোনও কথাই বলা হয়নি শুধুমাত্র বলা হয়েছে কাগজপত্র জমা দিয়ে রাখতে, যদি আগামী দিনে কোনও জায়গা পাওয়া যায় তখন ভাবনা চিন্তা করা হবে। তাই পেছনের দিকেই এখন বুলডোজারের চাপ। আর এই দুইয়ের মাঝখানেই অর্থাৎ শান্তিপুর পৌরসভা ও শান্তিপুর কলেজ কর্তৃপক্ষের মাঝে যাঁতাকলে পড়েছে শান্তিপুর কলেজের সামনে আনুমানিক প্রায় ৫০ জন ব্যবসাদারেরা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

শান্তিপুর কলেজের যেই গভর্নিং বডি রয়েছে তার প্রেসিডেন্ট অর্থাৎ শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী তার কাছেও তারা শরণাপন্ন হন। এর পাশাপাশি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছেও তারা যাবেন বলে মনস্থির করেছেন। তাদের দাবি স্বল্প মূল্যে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হোক, তাহলেই তাদের একমাত্র পেটে লাথি পরবে না।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
কলেজ না অন্য কারও! জমি নিয়ে টানাটানি, বুলডোজার চলতেই ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ৫০ ব্যবসায়ীর, কী হবে কেউ জানে না
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল