বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রিতা দাস জানান, প্রায় দশ দিন আগে ওই মিড ডে মিলের ঘরটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত ঘরটি বন্ধ ছিল। আজ হঠাৎ দরজা খুলে ভিতর থেকে মিড ডে মিলের সামগ্রী আনতে গিয়ে তার সামনেই আচমকা ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ে। অল্পের জন্য তিনি নিজে আহত হওয়া থেকে রক্ষা পান।
advertisement
শিক্ষিকার আশঙ্কা, যদি সেই সময় বিদ্যালয়ের কোনও পড়ুয়া ঘরের ভিতরে থাকত, তাহলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। যদিও নিয়ম অনুযায়ী, পড়ুয়ারা সরাসরি মিড ডে মিলের ঘরে ঢোকে না, কিন্তু অনেক সময় তারা সেখানে ঢুকে পড়ে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ওই এসএসকে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে মোট ৪৬ জন পড়ুয়া রয়েছে। শিক্ষিকা বলতে তিনি একাই। মিড ডে মিল চালানোর জন্য রয়েছেন দু’জন রাঁধুনি। একই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলও রয়েছে, যা বিদ্যালয়ের বারান্দায় পরিচালিত হয়। ঘটনার পর শিক্ষিকা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের বিষয়টি জানিয়েছেন। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
অন্যদিকে ‘আমার পাড়া আমার সমাধান’এর কাজের দেখভালের সভাপতি হিসাবে স্থানীয় রতন সরকারকে মনোনীত করা হয়েছিল সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে। তিনি অভিযোগ তুলছেন, কন্ট্রাক্টর কিংবা ইঞ্জিনিয়ার এর আগের বেশ কিছু কাজের ক্ষেত্রে সই করলেও এ কাজের ক্ষেত্রে কিছুই জানাননি। তবে কন্ট্রাক্টর তৃণমূল নাকি বিজেপি ঘনিষ্ঠ সে বিষয়ে অবশ্য তিনি বিতর্কে জড়াননি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে তাকে ব্রাত্য রাখা হয়েছে সে কথা সরকারি মহলে তিনি জানাবেন বলেই জানিয়েছেন। এই ঘটনায় স্কুলের নিরাপত্তা ও সরকারি প্রকল্পের কাজের গুণগত মান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল। এলাকাবাসীদের আশঙ্কা, এখনই যদি ছাদ এভাবে ভেঙে পড়ে তাহলে দু’ পাঁচ বছর বাদে কী হাল হবে! সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসে বিষয়টি আশ্বস্ত না করলে এই মুহূর্তে তারা স্কুলে বাচ্চাদের পাঠাবেন না।






