ছেলে পাচবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীরছাত্র। নদিয়ার আড়ংঘাটার বিরা গ্রামে তাদের বাড়ি। যখন অর্জুনের ১২ বছর বয়স, তখন থেকেই কাগজের পিচবোর্ড কেটে নানান রকম জিনিস বানাতে শুরু করে সে। প্রথম প্রথম বাবা মায়ের ভয়ে ঘরের দরজা আটকে অর্জুন কাজ করত। এখন ছেলের এই প্রতিভাকে তুলে ধরার জন্য তারাও ছেলের পাশে এসে দাঁড়িয়েেছেন ।
advertisement
আরও পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতেই মিটে গেল সমস্যা! স্বপ্নের পথে দূরত্বের বাধা কমল
বাবা অসীম বিশ্বাস টোটো চালিয়ে যে কটা টাকা ইনকাম করেন, তার থেকে কিছু টাকা স্কুলে টিফিন খাবার জন্য ছেলের হাতে তুলে দেন। কিন্তু অর্জুন টিফিন না খেয়ে, সেই টাকা জমিয়ে নিজের হাতে তৈরি করে ফেলেছে এক অবিকল তাজমহল। শুধু তাজমহল নয় দক্ষিণেশ্বর মন্দির, লালকেল্লা, ইন্ডিয়া গেট, ঘোড়ায় টানা রথ, জেসিপি, ট্রাক্টর তৈরি করেছে সে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এমন কি হুবহু তৈরি করে ফেলেছে আড়ংঘাটা যুগল কিশোর মন্দিরের গেট। তার হাতের অগ্নি থ্রি মিশাইল এবং মাটির তৈরি মা কালীর মূর্তিটা দেখে আপনি মনে করতেই পারেন, একজনের মধ্যে কতটা প্রতিভা থাকলে এমন কাজ সে অনায়াসে করতে পারে। অর্জুনের বাবা মায়ের এখন একটাই চাওয়া, তাদের ছেলের এই প্রতিভা ছড়িয়ে পড়ুক সারা দেশ জুড়ে। মানুষের মতন মানুষ হোক।