ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ ৮ মার্চ মঙ্গলবার বিকেল প্রায় ৫ টা নাগাদ ঊর্মিলা দেবী বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সেই থেকে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। ঊর্মিলা দেবীর এক ছেলে ও দুই মেয়ে। ছেলে সোনার কাজ করেন, বৌমাকে নিয়ে ভিন রাজ্যেই থাকেন। বাড়িতে থাকতেন ঊর্মিলা ও তাঁর স্বামী চিত্তরঞ্জন। ওইদিন ঊর্মিলা তাঁর নাতনির বিয়ের বিষয়ে এক ফেরিওয়ালার সঙ্গে ছেলের খোঁজে গিয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। তার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন৷
advertisement
আরও পড়ুন : পলাশ-লাল পুরুলিয়ার জঙ্গলে চিতাবাঘ! ধরা পড়ল বন দফতরের ক্যামেরার ছবিতে
ছেলে সোনার কাজ করায় ঊর্মিলার গায়ে সোনার গয়না থাকত বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এই গহনা ছিনতাই করতে গিয়েই ঊর্মিলা দাসকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়৷ এ ছাড়া অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন : কাজ ছেড়ে দিচ্ছেন অনেকেই, কোভিডকালে জনবলের সমস্যায় ধুঁকছে বিপণন দুনিয়া!
আরও পড়ুন : গরমে ঘামাচি থেকে দূরে থাকতে মেনে চলুন সাধারণ কিছু নিয়ম
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ ও দাসপুর থানা যৌথ ভাবে তদন্ত চালিয়ে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে৷ ধৃতরা হল সাগর খান, মেহবুব ইসলাম এবং শেখ শামীম আহমেদ৷ তাদের কেশপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি ধারালো অস্ত্র ও কিছু খোয়া যাওয়া অলংকার উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের শনিবার ঘাটাল আদালতে তোলা হয়।
(প্রতিবেদন : সুকান্ত চক্রবর্তী)