মূলত ঠান্ডা বাড়লে ওয়েস্টার মাশরুম চাষ করা সম্ভব। সেই কারণেই প্রায় ৩০ টি বেড ওয়েস্টার মাশরুমের চাষ করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দন দত্ত এবং সেই মাশরুমগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের মিড ডে মিলে। প্রথমত আমন ধানের খড়কে স্টেরিলাইজ করে, সামান্য আর্দ্রতাবজায় রেখে ঘরটাকে শুকিয়ে নেওয়া হয়। এরপর মাশরুমের বীজ লাগিয়ে পলিথিনের ব্যাগ বন্দি করে দিলেই ১৫ দিন পর থেকে জল দেওয়া আরম্ভ করলেই শুরু হয়ে যায় মাশরুম প্রোডাকশন।
advertisement
আরও পড়ুন: ৩০০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী বাঁকুড়ার এই রাজবাড়ি! এখানে এলে মন ভাল হবেই
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রায় সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন খাদ্য তালিকায় পুষ্টি যোগ করার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক, কারণ বাজার দর অনুযায়ী মিড ডে মিলে বরাদ্দ ৬ টাকা ১৯ পয়সায় সব সময় একটি সুষম খাদ্য মুখে তুলে দেওয়া সম্ভব হয় না, সে কারণেই কোনও অজুহাত না দিয়ে নিজেরাই বিদ্যালয়ের মধ্যে মাশরুম চাষ করছেন।
‘খালি পেটে ধর্ম হয় না’, বলেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ, আবার পুষ্টিকর খাদ্য ছাড়া শিশুরা বেড়েও ওঠে না। বাঁকুড়া জেলার শিক্ষার ট্রেন জার্নি শুরু হয় এই ধরনের নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়গুলিতে। ছোট ছোট শিশু মনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন হয় বিদ্যালয়ে। সেই কারণে বিদ্যালয়মুখী করার পাশাপাশি এবার শিশুদের পুষ্টিতে নজর দেওয়া হচ্ছে বাঁকুড়ার এই নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে, যাতে তাদের সার্বিক বিকাশ হতে পারে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





