দিনের পর দিন উর্দ্বমুখী হয়েই চলেছে করোনার (Coronavirus) সংক্রমণ। বাড়ছে ওমিক্রনের দাপট। রাশ টানতে সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে না নেমে বেশ কিছু বিধিনিষেধ (Covid restrictions) জারি করেছে রাজ্য সরকার। আর শুরুতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলি। তবে নবাবের জেলা মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Tourism) কয়েক হাজার মানুষ পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভরশীল। পর্যটনকেন্দ্রগুলি বন্ধ করে দেওয়ায় জীবিকাহীন হয়ে পড়েছে এই সমস্ত মানুষেরা।
advertisement
২০১৯ সালে এন আর সি-র কারনে ট্রেন পুড়িয়ে দেওয়া, তারপর ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার জেরে লকডাউন। একের পর এক ঘটনায় পর্যটক না আসায় রুজি রোজগার সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়েছিল তাদের। তারপর ২০২২ সালে পর্যটনের ভরা মরসুমে ২৫শে ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ১লা জানুয়ারি সবে মাত্র একটু রোজগারের আশায় বুক বাঁধছিল এই মানুষেরা। তারপরেই রাজ্য সরকারের নির্দেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় পর্যটনকেন্দ্রগুলি (Murshidabad Tourism)।
হাজারদুয়ারী প্যালেস (Hajarduari Palace) সহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলি খোলার দাবিতে তাই এবার বিক্ষোভে নামল মুর্শিদাবাদ পর্যটক সহায়তা মঞ্চ। মঙ্গলবার হাজারদুয়ারী প্যালেস চতুরে বিক্ষোভে (Murshidabad Tourism) সামিল হয় নৌকা চালাক, টাঙ্গা চালক, হোটেল ব্যবসায়ী-সহ পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত একাধিক মানুষ। এক ব্যবসায়ী আব্বাস আলি মির্জার বলেন বিক্ষোভকারীদের দাবি, কোভিডবিধিকে মান্যতা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত পর্যটক নিয়ে খুলতে হবে পর্যটন কেন্দ্রগুলি।
নৌকা সমবায় সমিতির সদস্য সুনীল রায় বলেন, নৌকা চালিয়ে প্রায় ১০০টি পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে। পর্যটনের ভরা মরসুমে নৌকা করে খোসবাগ, মতিঝিলে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে চরম সমস্যায় নৌকা চালকেরা। নবাবের জেলা মুর্শিদাবাদের লালবাগের অন্যতম আকর্ষণ টাঙ্গা। কিন্তু পর্যটক নেই তাই রুজি রোজগার বন্ধ থাকায় ঘোড়া সহ পরিবারের পেট চালাবেন কি করে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় টাঙ্গা চালকেরা। তাই সকলের দাবি করোনা বিধি মেনে পর্যটনকেন্দ্রগুলি খোলা হোক।