Coronavirus In Kids: "ভয় না পেয়ে ভরসা থাকুক ইমিউনিটিতে", Covid-এর তৃতীয় ঢেউতে পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের! জানুন...

Last Updated:

Coronavirus in Kids: কতটা সচেতন হতে হবে অভিভাবকদের? আদৌ কি কোনও আগাম সতর্কতা নেওয়া সম্ভব? এইসব প্রশ্ন নিয়েই নিউজ ১৮ বাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল শিশুরোগবিশেষজ্ঞ ডঃ নন্দিতা সাহার সঙ্গে। জানা যাক তাঁর পরামর্শ।

করোনার তৃতীয় ঢেউতে পরামর্শ দিলেন শিশুরোগবিশেষজ্ঞ নন্দিতা সাহা
করোনার তৃতীয় ঢেউতে পরামর্শ দিলেন শিশুরোগবিশেষজ্ঞ নন্দিতা সাহা
#কলকাতা: করোনার তৃতীয় ঢেউ (Coronavirus Third Wave) এলে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হবে শিশুরা, এমনটাই আশঙ্কা ছিল বিশেষজ্ঞদের। এবার সেই আশঙ্কাই কি সত্যি হল? দেশজুড়ে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ (Covid-19 Third Wave)আছড়ে পড়তেই শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে। জানা যাচ্ছে কোভিডের নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনে সবথেকে বেশি আক্রান্ত শিশুরা (Coronavirus In Kids)। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে কোভিড পজিটিভ শিশুর ক্ষেত্রে প্রায় ৭০ শতাংশই ওমিক্রন আক্রান্ত। সেক্ষেত্রে কতটা সচেতন হতে হবে অভিভাবকদের? আদৌ কি কোনও আগাম সতর্কতা নেওয়া সম্ভব? হলে কী ভাবে? এইসব প্রশ্ন নিয়েই নিউজ ১৮ বাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল শিশুরোগবিশেষজ্ঞ ডঃ নন্দিতা সাহার সঙ্গে। কী বললেন তিনি? জানা যাক তাঁর পরামর্শ।
প্রশ্ন: কোভিডের নতুন স্ট্রেইন নিয়ে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। শিশুদের জন্য কতটা মারাত্বক হতে পারে এই ওমিক্রন?
উত্তর: ওমিক্রনে (Omicron) আক্রান্ত শিশুদের কথা আলাদা করে বলাটা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। কারণ বাস্তবে খুব কম শিশুদের ক্ষেত্রেই ওমিক্রনের পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাই আমাদের কাছে যাঁরা আসছেন এবং টেস্টে কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ছে সে সমস্ত শিশুদের (Coronavirus In Kids) মধ্যে কতজন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের শিকার সেটা বোঝা কিন্তু প্রায় অসম্ভব। ডেল্টা আক্রান্ত হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে চিকিৎসা হচ্ছে তাদের। এটা এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে যাঁরা সামান্য উপসর্গ নিয়ে আসছে এবং টেস্ট করানোর পরামর্শ দিচ্ছি তারা প্রায় সবাই দেখা যাচ্ছে ডেল্টা আক্রান্ত।এই বিষয়টা অবশ্যই ভয়ের।
advertisement
advertisement
কিন্তু পাশাপাশি সদর্থক দিকটি হল, আক্রান্ত শিশুদের প্রায় কাউকেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে না। প্রাথমিক চিকিৎসাতেই তারা সুস্থ হয়ে উঠছে। আর এটাই এই মুহূর্তে সবথেকে 'পজিটিভ' দিক। যাদের কোনও অন্য অসুস্থতা আছে। তাদের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি করতে হলেও কিন্তু দু-চারদিনের চিকিৎসার পরেই বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া যাচ্ছে। ভেন্টিলেশন রাখতে হচ্ছে এমন বাচ্চার সংখ্যাও খুব কম। কাজেই এই মুহূর্তে অভিভাবকদের ভয় না পেয়ে সতর্ক থাকাটুকুই কাম্য।
advertisement
প্রশ্ন: কী কী উপসর্গ দেখলে মূলত সচেতন হতে হবে?
উত্তর: জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, বমি এই ধরণের উপসর্গই মূলত থাকছে। জ্বর-সর্দি-কাশি নেই, শুধুই ডায়রিয়া-বমি এমন বাচ্চাও করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে টেস্ট করানোর পরে। আবার শুধু গায়ে র্যাশ বেরিয়েছে, ডায়রিয়ার সমস্যা থাকলেও জ্বর নেই এমন বাচ্চাও টেস্ট করে দেখা গিয়েছে পজিটিভ। প্রস্রাবে সংক্রমণ নিয়েও কেউ কেউ পজিটিভ হয়েছে। কিন্তু সেটা পরিসংখ্যানের দিক থেকে খুব কম।
advertisement
প্রশ্ন : টেস্টিং এর গুরুত্ব কী কমে যাচ্ছে?
উত্তর : এক্ষেত্রে একটা বড় 'ট্রেন্ড' লক্ষ্য করছি অভিভাবকদের মধ্যে। তাঁরা সহজে বাচ্চার টেস্ট করতে চাইছেন না। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের মা-বাবারা ভীষণভাবেই টেস্টের বিষয়টা এড়িয়ে যেতে চাইছেন। অনেকেই বলছেন, টেস্টিং-এ বাচ্চা ভয় পাবে, অস্বস্তি বোধ করবে তাই তাঁরা করতে চাইছেন না। অনেকে টেস্টিং এর কথা বললেই এড়িয়ে যাচ্ছেন। তবে আমরা সবসময়ই বলব শিশুর উপসর্গ থাকলে কোভিড টেস্টিং অবশ্যই করান।
advertisement
প্রশ্ন : শুরু থেকেই বলা হয়েছিল কোভিড তৃতীয় ঢেউতে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হবে শিশুরা। বাস্তবে এটাই কি হচ্ছে? শিশুরা কি বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এবারে?
উত্তর : ঠিক তা নয়। প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই এবার শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে। যেটা আগে হচ্ছিল না। এবারে কিন্তু দেখতে পাচ্ছি কোনও পরিবারে বাড়ির বড়োরা আক্রান্ত হলে, বাচ্চারাও আক্রান্ত হচ্ছে। এমনটাই বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে শুধুমাত্র শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এমন কিছু কিন্তু এখনই বলা যাচ্ছে না। বরং বড়দের তুলনায় শিশুদের ইমিউনিটি বেশি থাকায় তারা কম কষ্ট পাচ্ছে। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠছে। অন্যদিকে বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ হয়েছে বলে সেক্ষেত্রে তাঁদেরও হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে না। তাই প্রাবল্যের নিরিখে কিন্তু এখন করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের জায়গাটা অনেকটাই শিথিল হয়েছে।
advertisement
প্রশ্ন: ইতিমধ্যেই ১৫ থেকে ১৮ বছরের বাচ্চারা করোনাভাইরাসের টিকা পেয়েছেন। তাঁরা কি কিছুটা হলেও 'নিরাপদ'?
উত্তর : অবশ্যই। যারা টিকা পাচ্ছে তাদের তিন-চার সপ্তাহের মধ্যেই এই কোভিড ১৯ ভাইরাসের (Coronavirus In Kids) বিরুদ্ধে একটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে যাবে যা তাদের অনেকটাই সাহায্য করবে আগামী দিনে। তাই বলব, সরকারি গাইডলাইন মেনে অবশ্যই ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণে উৎসাহ দেওয়া উচিত অভিভাবকদের। আরও একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কোভিড টিকা নেওয়ার পরেও কিন্তু সেভাবে তেমন বড় রকমের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হয়নি এই বয়সি বাচ্চাদের মধ্যে যারা টিকা নিয়েছে তাদের। ফলত অবশ্যই বলব ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের কোভিড টিকা দেওয়াতে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই ।
advertisement
প্রশ্ন : ওমিক্রনের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকরী কোভিড টিকা?
উত্তর : এখানে বলব 'ওমিক্রন'(Omicron) বা 'ডেল্টাক্রন' (Deltacron); কোভিড-এর (Coronavirus) যেই নতুন ভ্যারিয়েন্ট-ই আসুক না কেন তারা কিন্তু এক অর্থে আশীর্বাদ হয়েই আসছে। এগুলি স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে দিচ্ছে। তবে যেই স্ট্রেইন-ই আসুক না কেন তাতে কিন্তু করোনা টিকা কাজ করছে ভাইরাসের ক্ষমতা কমাতে। কারণ, সেই একই কথা আবারও বলছি, এই তৃতীয় ঢেউতে কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাসপাতালে ভর্তি করার কোনও প্রয়োজনীয়তা পড়ছে না। ঘরেই কিছু ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে ভাল হয়ে উঠছেন সকলে অল্প দিনেই।
প্রশ্ন : আগাম কী প্রস্তুতি নেওয়া উচিত?
উত্তর : বড়দের যদি উপসর্গ থাকে তাঁদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। তাঁরা বিন্দুমাত্র সন্দেহ হলেই বাচ্চার কাছে না গিয়ে তার থেকে দূরে থাকতে হবে। ছোট বাচ্চাদের মাস্ক পরানো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে কিন্তু সচেতন বাবা-মাকেই হতে হবে বাড়ির কোনও ব্যক্তির উপসর্গ থাকলেও একই সতর্কতা নিতে হবে। পাশাপাশি শিশুদের ইমিউনিটি (Coronavirus In Kids) বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেন ঠিক থাকে সে দিকটা খেয়াল রাখতে হবে। 'ব্যালেন্সড ডায়েটের' পাশাপাশি মাল্টি ভিটামিন, আয়রন এগুলোর কিছু সাপ্লিমেন্ট দিতে থাকতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
প্রশ্ন) কী কী খাবার খাওয়াতে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেবেন?
উত্তর : সবুজ শাক-সবজি ও ফল অবশ্যই খাওয়াতে জোর দিতে হবে। মাথায় রাখতে হবে যাতে ওদের একটা সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় থাকে। অর্থাৎ কিছুটা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার, মাছ-মাংস জাতীয় প্রোটিন এগুলো যেন প্রতিদিনের মেনুতে থাকে। তার পাশাপাশি থাকুক ভিটামিন যুক্ত খাবার। যাতে কোনভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে না যায়।
প্রশ্ন : কোন ধরণের মাস্ক বাচ্চাদের জন্য ঠিক?
উত্তর : ৫ বছরের কম বয়সিদের (Coronavirus In Kids) জন্য মাস্ক পরার কথা বলা হচ্ছে না। কারণ তাতে তাঁদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে আর তা থেকে অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে তার ওপরে বাচ্চাদের জন্য আমি বলব সার্জিকাল মাস্কই সবথেকে বেশি কার্যকরী হবে।
ধন্যবাদ।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Coronavirus In Kids: "ভয় না পেয়ে ভরসা থাকুক ইমিউনিটিতে", Covid-এর তৃতীয় ঢেউতে পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের! জানুন...
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement