TRENDING:

প্রশাসন বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে! চাঁদা তুলে সাঁকো নির্মাণ গ্রামবাসীদের, উন্নয়নের রাজ্যে এমন ভোগান্তি কোথায়?

Last Updated:

২৫ বছরেও হয়নি স্থায়ী সমাধান। তাই বাধ্য হয়ে নিজেদের গ্যাঁটের পয়সা জোগাড় করে যাতায়াতের জন্যে বাঁশের সাঁকো নির্মাণে উদ্যোগী হন গ্রামবাসীরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নবগ্রাম, মুর্শিদাবাদ, তন্ময় মন্ডলঃ গ্রামে ঢোকার একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। চাঁদা তুলে তৈরি করা হয়েছে বাঁশের অস্থায়ী সেতুটি। নবগ্রামের পারকুন্ডা গ্রামে গত ২৫ বছরেও হয়নি স্থায়ী সমাধান। তাই বাধ্য হয়ে নিজেদের গ্যাঁটের পয়সা জোগাড় করে যাতায়াতের জন্যে বাঁশের সাঁকো নির্মাণে উদ্যোগী হন গ্রামবাসীরা।
advertisement

মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রাম ব্লকের পাঁচগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পারকুন্ডা গ্রাম  চারপাশে খাল-নালায় ঘেরা। এই গ্রামের সঙ্গে বাইরের জগতের সংযোগের একমাত্র পথ একটি অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো। বর্ষা নামলেই এই গ্রামে শুরু হয় দুর্ভোগের আর এক নতুন অধ্যায়।

আরও পড়ুনঃ ঘুমের মধ্যেই বাড়িতে আগুন! দাউদাউ করে জ্বলছে… আটকে বৃদ্ধা শাশুড়ি, একটুর জন্যে রক্ষা প্রাণ

advertisement

গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বর্ষায় গ্রামবাসীদের যাতায়াত কেবল জলপথে। তখন কাঁধে ব্যাগ নয়, বরং হাতে থাকে বাঁশ কিংবা কড়াই। প্রায় ২৫ বছর ধরে এই দুর্ভোগ সহ্য করে চলেছেন গ্রামের মানুষ। চলাচলের সুবিধার জন্য গ্রামবাসীরাই চাঁদা তুলে প্রতিবছর বর্ষার শুরুতে নিজেরাই সাঁকো তৈরিতে লেগে পড়েন। বাঁশ কাটা, খুঁটি পুঁতো চলে সাঁকো তৈরি করার কাজ।

advertisement

আরও পড়ুনঃ আস্ত গ্রাম জুড়ে একতলা-দোতলা মাটির বাড়ি! ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা, দু’দিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন প্রকৃতির কোলে

গ্রামবাসীরা আরও জানিয়েছেন, “আমরা নিজেরাই চাঁদা তুলে সেতু তৈরি করি। সরকার যদি একটা পাকা সাঁকো করে দিত, অনেক উপকার হত। এই নালা অতিক্রম হয়ে যেতে হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কিন্তু বর্ষায় শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে পারেন না। ফলে শিশুদের পড়াশোনাও বন্ধ হয়ে যায় দিনের পর দিন। শুধু ছাত্রছাত্রী নয়, কেউ অসুস্থ পড়লে তাঁকে কাঁধে বা কড়াইয়ে চাপিয়ে সাঁকো অতিক্রম করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হয়। এককথায় প্রাণ হাতে করে যাতায়াত চলছে।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

স্থানীয়দের অভিযোগ,  “ভোটের সময় আশ্বাস আসে, কিন্তু ভোট মিটে গেলেই আর কেউ ফিরে তাকায় না।” গ্রামে রয়েছে একটি জাগ্রত শিবমন্দিরও। শ্রাবণ মাসে আশপাশের গ্রাম থেকে বহু মানুষ পুজো দিতে আসেন। তাঁদের এই সাঁকো পার হতে গিয়ে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য জানিয়েছেন, “সরকারি নকশায় রাস্তার জন্য কোনও জমি না থাকায় স্থায়ী সাঁকো নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না।”

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
প্রশাসন বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে! চাঁদা তুলে সাঁকো নির্মাণ গ্রামবাসীদের, উন্নয়নের রাজ্যে এমন ভোগান্তি কোথায়?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল