আস্ত গ্রাম জুড়ে একতলা-দোতলা মাটির বাড়ি! ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা, দু'দিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন প্রকৃতির কোলে

Last Updated:

এই গ্রামের অধিকাংশ বাড়িই মাটির তৈরি। এই গ্রাম মূলত কৃষি প্রধান গ্রাম হিসেবেই পরিচিত। এখানে কিছু কিছু বাড়ির বয়স ৭০ বছরের বেশি।

+
মাটির

মাটির বাড়ির গ্রাম

নবগ্রাম, মুর্শিদাবাদ, তন্ময় মন্ডলঃ মুর্শিদাবাদ জেলার এক প্রাচীন ব্লক নবগ্রাম। নবগ্রামের সাঁকুরিয়া গ্রাম, শিবপুর অঞ্চলে আজও আছে মাটির বাড়ি। মাটির বাড়ি শুধু নয়, গ্রামে এখনও টিকে আছে দোতলা মাটির বাড়ি। অনেক পাকা বাড়ি থাকলেও মাটির বাড়ির অস্তিত্ব এখনও রেখে দিয়েছেন অনেক গ্রামবাসী। ফলে মাটির বাড়ি দেখতে এখানে আসেন বহু পর্যটক।
জানা গিয়েছে, এই গ্রামের অধিকাংশ বাড়িই মাটির তৈরি। এই গ্রাম মূলত কৃষি প্রধান গ্রাম হিসেবেই পরিচিত। এখানে কিছু কিছু বাড়ির বয়স ৭০ বছরের বেশি। তবে বর্তমানে আধুনিকতার যুগে অনেক পাকা বাড়িও তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে বিপত্তি! ট্রাক্টর থেকে পড়ে মুর্শিদাবাদে প্রাণ হারালেন বীরভূমের ‘শিব ভক্ত’
গ্রামের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, একসময় গ্রাম বাংলার মাটির বাড়ি শুধু বাসস্থান নয়! ছিল আবেগ, ঐতিহ্য আর মানুষের মিলনের প্রতীক। এই সব বাড়িতে বসবাস করত যৌথ পরিবার। যেখানে বাবা-মা, সন্তান, দাদা-দাদু সবাই একসঙ্গে থাকতেন। উঠোনে একসঙ্গে গল্প করা, পিঠে বানানোর উৎসব, সন্ধ্যায় লণ্ঠনের আলোতে পারিবারিক সময় কাটানো-এসব দৃশ্য মাটির বাড়ির অপরিহার্য অংশ ছিল।  যা আজও স্মৃতিতে ভাসে। মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা, সহযোগিতা, ভালোবাসার বন্ধন গভীর ছিল।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ  তেল ভরতে স্কুটি নিয়ে পেট্রল পাম্পে খোদ অরিজিৎ সিং, চমকে গেলেন পাম্প কর্মীরা
কিন্তু আধুনিক ফ্ল্যাট সংস্কৃতি এই চিত্র পুরোই বদলে দিয়েছে। এখন পরিবারের সদস্যরা আলাদা ঘরে, এমনকি আলাদা শহরে বসবাস করেন। মানুষে মানুষে মনের দূরত্ব বেড়েছে। যৌথ পরিবারের ধারণা তো বিলুপ্তপ্রায়। ফ্ল্যাটে বাস করা মানুষের মধ্যে পাশের বাড়ির কাউকে চেনার তাগিদও কম। মাটির বাড়ির সেই আন্তরিক পরিবেশ আর মিলনের সুযোগ আধুনিক বাসস্থান ও সমাজে অনুপস্থিত। যা আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনকে দিন দিন দুর্বল করে দিচ্ছে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গ্রামের প্রবীণ নাগরিকরা বলছেন, বর্তমান সময়ে আধুনিকতার ছোঁয়া মানুষের জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে। বিশেষ করে বাসস্থানের নকশায়। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির বাড়ি ছিল প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে সম্পূর্ণ মানানসই। এসব বাড়ি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি হওয়ায় গরমকালে ঠান্ডা আর শীতকালে উষ্ণ পরিবেশ তৈরি করত। মাটির দেওয়াল, খোলামেলা উঠোন, চারপাশে গাছপালার ছায়ায় পাওয়া যেত নির্মল হাওয়া। মাটির বাড়িতে  মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে বাস করত, যা স্বাস্থ্য ও মানসিক প্রশান্তির জন্য অত্যন্ত উপকারী।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
আস্ত গ্রাম জুড়ে একতলা-দোতলা মাটির বাড়ি! ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা, দু'দিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন প্রকৃতির কোলে
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement