গত শুক্রবার থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সামশেরগঞ্জ। কেটে গিয়েছে অনেকটাই সময়। তারপর থেকেই একরকম বিড়ি বাঁধার কুলো ঘরের কোণে রেখেই চুপচাপ দিন গোনা শুরু করেছেন সামশেরগঞ্জের বিড়ি শ্রমিকরা। এলাকায় উত্তেজনার কারণে বন্ধ রয়েছে বিড়ি কারখানা। অশান্তির কারণে মুন্সিরাও বিড়ি নিতে আসছেন না এলাকায় বলেই অভিযোগ। কাজেই বিড়ির পাতা মশলা পাচ্ছেন না বিড়ি শ্রমিকরা।
advertisement
বিড়ির পাতা ও মশলা সংগ্রহ করার পর চলে বিড়ি বাঁধার কাজ। যা মজুরি হয় তা মেলে সপ্তাহের শেষে। এক হাজার বিড়ি বাঁধলে মেলে ১৭৫ টাকা মজুরি। আর সেই দিয়েই চলে সংসার। সামশেরগঞ্জ মুলত বিড়ি শিল্পের উপর নির্ভর। মুর্শিদাবাদ জেলার একটা বড় রাজস্ব আয় হয় এই সামশেরগঞ্জ থেকেই। কারণ এখানেই আছে অনেক বিড়ির কারখানা।
আরও পড়ুন: পাবদা মাছ প্রিয়…? খেলে শরীরে কী হয় জানেন তো? আরেকবার মুখে তোলার আগে জানুন বিশেষজ্ঞের মত
পতাকা বিড়ি, শিববিড়ি, নূর বিড়ি-সহ অনেক বিড়ি কোম্পানি রয়েছে এখানে। আর এই বিড়ি বেঁধেই চলে সংসার শ্রমিকদের। প্রায় সাড়ে তিন লক্ষের বেশি ভোটার উভয় সম্প্রদায়ের বড় অংশের মানুষই বিড়ি শ্রমিক। নিজেদের বাঁধা বিড়ি প্রত্যেকদিন জমা করে সপ্তাহের শেষে টাকা পায় তাঁরা। কিন্তু এই অস্থির অশান্তির জন্য তাদের বাড়িতে হাঁড়ি চড়া দায় হয়ে উঠেছে এমনটাই জানালেন সামশেরগঞ্জের এলাকার বিড়ি শ্রমিকরা।
বিড়ি শ্রমিক চঞ্চলা বালা দাসের তাদের দাবি, এলাকায় অশান্তি নয়, শান্তি ফিরুক এলাকায়। খুলুক দোকানপাট থেকে শুরু করে বিড়ি কোম্পানির দর্জা। ধুলিয়ান পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শুকরানা বিবি তিনি জানান, বিড়ি বেধেই চলে সংসার। বর্তমানে ৫দিন থেকে বন্ধ বিড়ির কাজ। খুব অসুবিধার মধ্যে দিয়েই আছেন তারা।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক চাইছেন ব্যবসায়ী থেকে বিড়ি বাঁধার সঙ্গে যুক্ত সকলেই।
কৌশিক অধিকারী





