হা-ডু ডু মূলত কবাডি খেলা হিসেবেই পরিচিত। উনিশ শতকের সময় থেকেই কাবাডি ছিল গ্রামবাংলার অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা। বলা চলে, খেলাধুলা শিশু-কিশোরের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু প্রযুক্তির উৎকর্ষে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা। ফলে বর্তমানের অধিকাংশ শিশু-কিশোর খেলাধুলাতে আর মেতে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে না। ফলে গ্রামীণ নানা খেলা এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।
advertisement
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, শহরের পাশাপাশি গ্রামের মানুষও এখন প্রযুক্তিগত নানা অভ্যাসের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। ফলে গ্রামীণ বাংলার নানা ঐতিহ্য থেকে বিমুখ হয়ে পড়ছে মানুষ। একটা সময় ছিল, খেলাধুলা নিয়ে গ্রামবাংলার মানুষ মেতে থাকত। সেসব দৃশ্য যেন আজ কেবল স্মৃতি। গ্রাম-বাংলায় এই হাডুডু খেলার ধুম ছিল বেশ। উৎসব করে আয়োজন করা হত খেলাটির। এলাকার চারদিকে ছিল উৎসব আর আনন্দের জোয়ার। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে এই হাডুডু। এখনকার ছেলেমেয়েদের কাছে হাডুডু পাঠ্যপুস্তকের কেবল একটি নাম। এ যুগের ছেলেমেয়েরা তাদের দেশীয় সংস্কৃতি চেয়ে বিদেশি বিষয় নিয়েই মাতামাতি করে বেশি। এর ভুক্তভোগী হয়েছে এই খেলাও। যদিও রাত জেগে হা ডু ডু বা কবাডি খেলা দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু সাধারণ মানুষজন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে মুর্শিদাবাদ জেলা ছাড়াও নদীয়া ও ২৪ পরগনার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত খেলোয়াড়েরা। গ্রামাঞ্চলের মানুষদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়, বহু মানুষ রাতভর ভিড় জমিয়েছিলেন কবাডি খেলা রোমাঞ্চ উপভোগ করতে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলের হাতে তুলে দেওয়া হয় ট্রফি সহ ১০ হাজার টাকা এবং উপবিজয়ী দল পায় ট্রফি সহ ৭ হাজার টাকা।
কৌশিক অধিকারী





