২৫ বছর আগে একবার লালদীঘিতে পুজো হয়েছিল। তারপর এই প্রথম সুভাষ সরোবরে দুর্গা আরাধনা হচ্ছে। পুজোর প্রস্তুতি পর্ব থেকেই কৌতূহল বাড়ে শহর তথা জেলাবাসীর মনে। অবশেষে হয় প্রতীক্ষার অবসান। সন্ধ্যা থেকেই আলোয় আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে লালদীঘির চারপাশ। থিমের বাহার, সঙ্গে প্রতিমার সাজ ইতিমধ্যেই দর্শকদের নজর কেড়েছে। এই মণ্ডপটি শুধু একটি মণ্ডপ নয়, এটি একটি বিশেষ স্থাপত্য শৈলীর প্রতিফলন বলেই মনে করছেন পুজো উদ্যোক্তারা। বিশেষ চমক জলের উপর রঙিন আলোর খেলা, মণ্ডপ দেখতে জনজোয়ার।
advertisement
লোটাস টেম্পল বা কমল মন্দির দিল্লিতে অবস্থিত বাহাই সম্প্রদায়ের পুজোর স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি স্থান। ১৯৮৬ সালে এটির নির্মাণ কাজের সমাপ্তি হয়। এই মন্দিরের কারুকার্য পদ্ম ফুলের ন্যায় হওয়ায় এটিকে ভারত উপমহাদেশের কেন্দ্রীয় মন্দির হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং মন্দিরটি দিল্লি শহরের একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। যারা দিল্লি গিয়ে এই মন্দির দর্শন করেননি এখনও তাদের কথা মাথায় রেখেই এই মণ্ডপসজ্জা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বহরমপুর শহরে।
পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা নারুগোপাল মুখার্জি জানিয়েছেন, আমরা এবছর শহরবাসীর কথা মাথায় রেখেই পুজো চালু করেছি। লোটাস টেম্পলের আদলে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার বেশি ব্যায়ে এই মণ্ডপসজ্জা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আগত দর্শকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ ২৫ বছর পরে এত সুন্দর থিম আমরা দেখতে পাচ্ছি। যা সত্যি এক মনোমুগ্ধকর। সব থেকে বেশি মুগ্ধ করেছে আলোর বিশেষ খেলা।