রাজ্যেই রয়েছে শাঁখার আঁতুড়ঘর। মুর্শিদাবাদের ডোমকল, সেখানে রয়েছে বাজিতপুর গ্রাম। শাঁখার জন্য বিখ্যাত দেশে। মুর্শিদাবাদের এই গ্রামে ঘরে ঘরে তৈরি হয় হরেকরকমের নকশার শাঁখা। কলকাতা থেকে দিঘা, মালদহ, দুই দিনাজপুর, কোচবিহার জলপাইগুড়ি-সহ ত্রিপুরা ও অসমেও এখান থেকেই শাঁখা রফতানি হয়। বাংলাদেশেও কদর রয়েছে বাজিতপুরের শাঁখার। বর্তমানে শুরু হয়েছে অগ্রহায়ণ মাস।
advertisement
আরও পড়ুন : মাছ চাষে বাড়বে উৎপাদন, আসবে মোটা টাকা! মহিলাদের হাতে নয়া ফর্মুলা, রানিবাঁধে দ্বিগুণ আয়ের দিশা
অর্থাৎ বিয়ের মরশুম। ফলে এখন বিয়ের মরশুমে শাঁখার গ্রামে এখন তৎপরতা তুঙ্গে। চলছে শাঁখা তৈরির কাজ। শিল্পীরা জানিয়েছেন, চেন্নাই ও শ্রীলঙ্কা থেকে শাঁখা তৈরির কাঁচামাল শাঁখ আসে এই গ্রামে। বেশ কয়েকবছর ধরে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সৈয়দ ইসলাম বাবু। তিনি জানিয়েছেন, শাঁখা তৈরি হতে বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তাঁদের। প্রথমে কাটা হয়, তারপর গ্রাইন্ডারে যায়। সাইজ করতেই সময় লাগে অনেকটা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তারপর আরও কয়েকটি প্রক্রিয়ার পর নকশা কাটা হয়। বেশিরভাগ ব্যবসায়ীর মুখে এমন কথা শোনা গেলেও বেশ কয়েকজন আক্ষেপ করে বলেন, ‘রাজ্যে শাঁখা শিল্পের জন্য বিখ্যাত বাজিতপুর। তবে, সরকারের কোনও সাহায্য পাওয়া যায় না। লোন ইত্যাদিও পাওয়া যায় না।’ যে আর্থিক সাহায্য পাওয়া গেলেও এই শিল্পের আরও উন্নতি সম্ভব বলেই মনে করছেন অনেকে।





