চালক গাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসতে পারলেও রোগী বেরোতে পারেননি। প্রায় ঘণ্টা তিনেক খোঁজাখুঁজি করার পরে উদ্ধার হয় ওই মারুতি গাড়ি সহ রোগীর নিথর মৃতদেহ। মৃতের নাম সারথী মণ্ডল (৬০)। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়। কোমরে কিছুদিন আগে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তাই সোমবার সকালে একটি মারুতি ভ্যানে করে বহরমপুরে ডাক্তার দেখিয়ে শক্তিপুর থানার গৌরীপুর গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন সারথী মণ্ডল। তার সঙ্গে ছিল আরও ২ জন আত্মীয়।
advertisement
আরও পড়ুন - পূর্ব বর্ধমানে অনুষ্ঠিত হল সিপিআইএম-এর সম্মেলন
২ জন আত্মীয় গাড়িটিকে নৌকায় তোলার আগে গাড়ি থেকে নেমে যান। চালক সহ ওই রোগী গাড়ির ভিতরেই ছিলেন। কিন্তু গাড়িটি নৌকোয় উঠতেই হঠাৎ নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গঙ্গায় পড়ে যায়। চালক গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেও সারথী মণ্ডল গাড়ি থেকে বেরোতে পারেননি। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে নদীতে নামে। খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌছায় রেজিনগর ও শক্তিপুর থানার পুলিশ। ডুবুরি ও সিভিল ডিফেন্স টিম গঙ্গায় উদ্ধারকাজ শুরু করে। ঘন্টা তিনেক খোঁজাখুঁজি করার পর নদী থেকে উদ্ধার হয় ওই মারুতি গাড়ি সহ রোগীর নিথর মৃতদেহ।
আরও পড়ুন - বন্ধুত্বের হাত! গাড়ি চালকদের হাতে গরম চা তুলে দিচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা, কিন্তু ঠিক কেন
পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মাঝি হাবিবুর সেখ বলেন, "নৌকো ফাঁকাই ছিল। খুব বেশি যাত্রী ছিল না। গাড়িটা নৌকোয় উঠতেই ব্রেক না ধরায় একেবারে নদীতে পড়ে নিমেষের মধ্যে তলিয়ে যায়।" ঘটনায় মৃতের পরিবারজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকেরা। আত্মীয় রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, "চালক গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেও কোমরে সমস্যা থাকায় সারথী গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। ডুবুরি এসে অনেকক্ষণ ধরে খোজাখুঁজির পর গাড়িটা নদী থেকে উদ্ধার করে। গাড়ির মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় সারথীর নিথর দেহ।"