এর পাশাপাশি প্রতিমা নিরঞ্জনের পর নদীতে দূষণ ঠেকাতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র প্রতিমা নিরঞ্জনের পর কাঠামো সহ যাবতীয় আবর্জনা সাফায়ে ১১০০ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশ মতে হলদিয়ার নদী ঘাটগুলিতে চলছে প্রতিমা নিরঞ্জন। আর সঙ্গে সঙ্গেই তা সাফ করার কাজ চলছে।
পৌর প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এবার হলদিয়া পৌর এলাকার ২৯ টি ওয়ার্ডে মোট ১০৫টি দুর্গাপুজো হয়েছে। দুর্গাপুজোর শেষ দিন অর্থাৎ দশমী বৃহস্পতিবার প্রতিমা বিসর্জনে উৎসাহ দেখাননি কোনও পুজো কমিটি। শুক্রবার শুক্রবার বিকেলের পর থেকেই প্রতিমা বিসর্জনের হিড়িক পড়ে এলাকায়।
advertisement
এদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত হলদিয়া টাউনশিপে হলদি নদীর ঘাটে ৩০টি প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। বাকি প্রতিমা দুর্গাচক লাগোয়া হুগলি নদী, কোথাও বড় ঝিলে, পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। বিসর্জনের যাবতীয় খড়, কাঠ, কাপড়, কাগজ, ফুল ইত্যাদি সামগ্রী কোনওভাবেই যাতে পরিবেশের ক্ষতি না করে, সেদিকে কড়া নজর ছিল পৌরসভার সাফাই কর্মী থেকে আধিকারিকদের। উৎসব শেষ কিন্তু পরিবেশ যাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যায় সেদিকে নজর দেয়া হয়েছে আবর্জনামুক্ত পরিবেশ, বিশেষ করে ডেঙ্গুমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য শিল্প শহরে।
হলদিয়ার মহকুমা শাসক তথা পৌর-প্রশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “পুজো, উৎসব-অনুষ্ঠান চলবেই। পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা খুবই জরুরি। তাই সমস্ত জায়গায় আবর্জনা দ্রুত সরিয়ে ফেলার কাজ করা হয়েছে। এমনকী প্রতিমা বিসর্জনের পর নদীতে দূষণ ছড়ায়, সেই বিষয়টাও মাথায় রাখা হয়েছে।”
হলদিয়া পৌরসভার সাফাই বিভাগের ১১০০ সাফাইকর্মী নোংরা, আবর্জনা সরানোর কাজ করে চলেছেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখার কাজে গুরুত্ব দিয়েছে পৌরসভা। এর পাশাপাশি নদীতে জল দূষণ রোধ করতে প্রতিমা বিসর্জনের পরেই কাঠামো সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- দুঃখের দশমী শেষে ‘কুম্ভ মেলা’য় মাতলেন আদিবাসী সম্প্রদায়! জানুন ‘এই’ মেলার বিশেষত্ব
জানা যায়, শনিবার ৪ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিমা নিরঞ্জন শেষ করতে হবে। সেই মতো হলদিয়া পৌর এলাকার বিভিন্ন নদী ঘাটগুলিতে মজুদ রয়েছে সাফাই কর্মীরা। উৎসবের পর দূষণ যাতে না ছড়ায়, হলদিয়া পৌর এলাকাজুড়ে এই সাফাই অভিযান লাগাতার চলবে বলে জানা গিয়েছে।