TRENDING:

Motivational Story: উচ্চশিক্ষার খরচ জোগাতে এই ছাত্রী রাস্তায় দাঁড়িয়ে ‌যা করছেন!

Last Updated:

Motivational Story: কম্পিউটার সায়েন্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী,বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়াতে সংসারের হাল ধরতে আখের রস বিক্রি হাওড়ার সুস্মিতার, এক বছরের পরিশ্রমের ফলে আজ লাভের মুখ দেখছে সুস্মিতা<br><br>

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
হাওড়া: উচ্চশিক্ষায় পড়াশুনার পাশাপাশি সংসারের হাল ধরতে আখের রস বিক্রি করছেন কম্পিউটার সায়েন্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী হাওড়ার সুস্মিতা বড়াল। গত এক বছরের প্রচেষ্টায় দারুণ সফল সুস্মিতা | তিনি আধুনিক পেষাই যন্ত্র ব্যবহার করে আখের রস তৈরি করেন এবং তাই বিক্রি করেন |
advertisement

হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের ঠিক পিছনে দিকে গেলেই দেখা পাওয়া যাবে সুস্মিতার৷ কোনা তেতুলতলা থেকে ডুমুরজলা প্রায় ৩০ মিনিট সাইকেল চালিয়ে প্রতিদিন দোকানে পৌঁছয় এই কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্রী | কিন্তু এর জন্য পড়াশুনোয় কোনও ক্ষতি হতে দেওয়ার অবকাশ নেই৷  তৃতীয় বর্ষের পড়াশোনা- কম্পিউটার সায়েন্সে বিটেক করছে সুস্মিতা৷ পাশাপাশি বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়াতে, বেছে নিয়েছেন আখের রস বিক্রির রাস্তা৷

advertisement

আরও পড়ুন –

Indian Railways: যাত্রীদের ‘মাথায় পড়বে বাজ’, উন্নয়নের কাজ হবে এই রেল লাইনে, ১৫ দিনে বাতিল বহু লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন

View More

ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের কাছেই ফুটপাথের ধারে একটা টেবিলের ওপরে আধুনিক পেষাই যন্ত্র বসিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্রি করেন আখের রস৷ সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান চালান সুস্মিতা৷ কিছুদিন চাকরি করে ফ্যাঞ্চাইজি নিয়ে ব্যবসা করার ইচ্ছা তাঁর৷  সে অনেক টাকার ব্যাপার, তাই অল্প পুঁজিতে নিজের ব্যবসা শুরু করেছে সুস্মিতা৷  ব্যবসায় বাবা-মা এবং বন্ধুরা সকলেই সাহায্য করেছে।

advertisement

প্রতিদিন সকালে রুটি তরকারি নিয়ে হাজির হয় দোকানে। তারপর বিকালে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে পৌঁছে স্নান খাওয়া সেরে সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় লেখাপড়া। তারপর আবার পরের দিনের জন্য প্রস্তুতি।ব্যবসায়ী বাবাকে দেখে সুস্মিতারও ইচ্ছে হয়েছিল নিজেও কিছু করার| পড়াশোনা শেষ করার আগে এখন যদি কোনওভাবে কিছু উপার্জন করতে পারি বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়ানো যায় সেই ভেবেই আখের রস বিক্রি শুরু করা সুস্মিতার৷  প্রায় এক বছরের পরিশ্রমের ফলে আজ ব্যবসায় লাভের মুখ দেখছেন সুস্মিতা৷  তাঁর মতো পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে সুস্মিতা বসে থেকে সময় নষ্ট না করে সবারই উচিৎ এইভাবে নিজের জন্য কিছু করা, এতে স্বনির্ভরতা তৈরি হয়৷ প্রথমে ক্রেতাদের ভিড় তেমন হত না৷

advertisement

কিন্তু লোকের মুখে তাঁর দোকানের কথা ছড়িয়ে পড়তে ভিড় এমন বেড়েছে যে যোগান দিতে হিমসিম খেতে হয় সুস্মিতাকে৷  মিষ্টভাষী সুস্মিতার ব্যবহারই তাঁকে মানুষের মধ্যে অনেকটা জনপ্রিয় করে তুলেছে৷  লক্ষ্য রয়েছে এই ছোট্ট ব্যবসা আরও বড় আকারে তুলে ধরার, এই প্রতিষ্ঠানকে একটি ব্র্যান্ডে পরিণত করার৷

Rakesh Maity

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Motivational Story: উচ্চশিক্ষার খরচ জোগাতে এই ছাত্রী রাস্তায় দাঁড়িয়ে ‌যা করছেন!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল