শিশুদের ঘরের বাইরে পা দেওয়া নিষিদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অবশেষে সেই হনুমানটিকে কবজায় আনল বন দফতর। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন এলাকার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন- North 24 Parganas News: ৬০ লক্ষের বেশি টাকা উদ্ধার রেল স্টেশনে! কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? জানুন
গত কয়েকদিনে হনুমানটির হামলায় জখম হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। শুধু বড়শুলের গোপালপুর এলাকাতেই হনুমানের কামড়ে জখম হয়েছেন চার জন। ফলে হনুমানটিকে ধরার ব্যাপারে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বন দফতর, সবার ওপরই চাপ বাড়ছিল।
advertisement
বন দফতরের দল এলেই গা ঢাকা দিচ্ছিল হনুমানটি। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছে যায় যে হনুমানের অবস্থান জানতে পঞ্চায়েতে ফোন নাম্বার সহ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়। মাইকিং করে এলাকায় আবেদন করা হয় হনুমানটির অবস্থান জানতে পারলেই তা পঞ্চায়েতে ফোন করে জানান। আর এই ব্যবস্থার মাধ্যমেই হনুমানটির হদিশ পেল বনদপ্তর। এরপর তাকে কবজায় আনতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি বন দফতরের কর্মী, আধিকারিকদের।
বর্ধমান ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরুন গোলদার বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরেই হনুমানটি এলাকার বাসিন্দাদের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারণ গত কয়েক দিনে হনুমানটির কামড়ে অন্তত ১৫ জন জখম হয়েছিলেন। আমরা বন দপ্তরে খবর দিয়েছিলাম দুদিন আগে বন দপ্তরের কর্মী আধিকারিকরা সারাদিন থেকেও হনুমানটিকে সেভাবে নিজেদের কবজায় আনতে পারেননি। হয়তো বুঝতে পেরেই গা ঢাকা দিয়েছিল সে।
গতকাল পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করে হনুমানটির অবস্থান ও গতিবিধির ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য বাসিন্দাদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। আজ সকাল সকাল ফের বন দফতরের কর্মী আধিকারিকরা এসেছিলেন। হনুমানটিকে চিহ্নিত করার পর সেটিকে আটক করে বন দফতর।
আরও পড়ুন- Exclusive: করণ আদানিকে ইচ্ছাপত্র দিলেন মমতা, তাজপুরের বন্দরের দিকে এ বার নজর দেশ-বিদেশের
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হনুমানটির কামড়ে অনেকেই জখম হয়েছেন। তাই বাসিন্দাদের একটা ভীতি তৈরি হয়েছিল। আটক করা হনুমানটিকে বর্ধমানের রমনা বাগান অভয়ারণ্যে রেখে চিকিৎসা করা হবে।