চাকরির দাবিতে মঙ্গলবার তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন জয়নগরের বহড়ুতে। কুলতলি থেকে প্রায় পঁচিশ কিলোমিটার পথ পেরিয়েছেন ট্রাই সাইকেলে। কুলতলির কুন্দখালি গোদাবর পঞ্চায়েতের কীর্তনখোলা গ্রামের বাসিন্দা মনিরুল জানান, দক্ষিণ বারাসত কলেজ থেকে ইংরেজিতে স্নাতক ডিগ্রি পান।
আরও পড়ুন: মৃণাল সেন ছবির শ্যুটিং করেছিলেন এই গ্রামে! তাঁর শতবর্ষে বিশেষ প্রদর্শনী
advertisement
পরে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁর দাবি, স্থানীয় পঞ্চায়েত দফতরে অস্থায়ী কাজে ঢুকেছিলেন। তবে বছর দু’য়েক পরে সেই দফতর দোতলায় স্থানান্তরিত হলে কাজ যায় মনিরুলের। পরে নানা জায়গায় কাজের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তেমন সুযোগ মেলেনি।
আরও পড়ুন: কাদাতে এ কোন প্রাণীর পায়ের ছাপ! আতঙ্কে এলাকাবাসি
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে একটা বিহিত হতে পারে, এই ভরসায় এসেছিলেন এ দিন। হাতে লেখা একটি চিঠি ছিল সঙ্গে। তবে নিরাপত্তার কড়াকড়িতে সামনাসামনি দেখা হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। মনিরুল বলেন, ‘‘চাকরির আশায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। দেখাটাই হল না!”
বিষয়টি জেনে কুলতলির বিধায়ক গণেশ মণ্ডল পরে বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে দেখা করলে চেষ্টা করব ওঁর পাশে থাকতে।’’ তবে বিরোধীদের কটাক্ষ, ধর্মতলায় হাজার দিন পেরিয়ে গেল চাকুরিপ্রার্থীদের ধর্না। প্রতিবন্ধী যুবকের আবেদন কি আদৌ উপর মহলের কানে পৌঁছাবে।
সুমন সাহা