ন্যূনতম খরচে, কেবল পরিচর্যা করেই লাভের মুখ দেখেন রাইপুর ব্লকের শ্যামসুন্দর পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামরপচা গ্রামের বাসিন্দা দীলিপ টুডু। আর তাঁর হাত ধরেই রাইপুর ব্লকে প্রথম ড্রাগন ফলের চাষ শুরু হয় বলে মনে করেন তিনি। এখন জেলার অন্যান্য কৃষকদের এই কাজে এগিয়ে আসার উৎসাহ দিচ্ছেন খোদ দীলিপ বাবু। জেলার আর পাঁচটা কৃষকের মতই ধান, ভুট্টা চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: শিক্ষক হিসাবে পরম প্রাপ্তি! বাঁকুড়ার ইংরাজি সহকারী শিক্ষক পেলেন শিক্ষারত্ন ২০২৫, জেলার গর্ব
প্রথাগত এই চাষ করতে যে পরিমাণ খরচ হয়, ফসল বিক্রি করে লাভ দেখা যায় না। বিকল্প পথ খুঁজতেই সোশ্যাল মিডিয়া ঘেঁটে ড্রাগন ফলের কথা জানতে পারেন দীলিপবাবু।
ড্রাগন চারা এনে নিজের জমিতে রোপণ করেন। ইউটিউবে চাষের পদ্ধতি জেনে চাষ করেই মেলে সাফল্য । দীলিপবাবুর কথায়, ‘ড্রাগন ফলের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। চাষ করতে বিশেষ খরচ হয় না। ভালো টাকায় কেজি দরে ড্রাগন ফল বিক্রি হয়।
আরও পড়ুন: ভাঙা দেওয়াল বেয়ে নেমেছে বট অশ্বত্থের ঝুরি, দর্শকদের ভিড়ে ভরে থাকা অতীতের সিনেমা হল আজ ভগ্নস্তূপ
ড্রাগন ফল হচ্ছে একটি বিদেশি ফল, বিগত কয়েক বছর ধরে বাঁকুড়ার মাটিতে এই ফল চাষ করে লাভের মুখ দেখছে বহু কৃষক। কখনও বিষ্ণুপুর কখনও বাঁকুড়া, লাল এই ফল চাষ করে, একটি রক্তিম বিপ্লব এনেছেন জঙ্গলমহলের কৃষক দিলীপ টুডু।