শিক্ষক হিসাবে পরম প্রাপ্তি! বাঁকুড়ার ইংরাজি সহকারী শিক্ষক পেলেন শিক্ষারত্ন ২০২৫, জেলার গর্ব

বাঁকুড়া, নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়: শিক্ষারত্ন ২০২৫ পেলেন বাঁকুড়া জিলা স্কুলের ইংরাজির সহকারী শিক্ষক রক্তিম মুখার্জি। এই পুরস্কার পেয়ে তাক লাগিয়েছেন তিনি।

রুটিন মাফিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রদের শিক্ষা প্রদান করা ছাড়াও রক্তিম মুখার্জি করে থাকেন বিদ্যালয় এবং পাঠ সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বহু কাজ। যেমন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবা মূলক কাজ কর্মে সক্রিয় ভাবে যোগদান করা। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়নে যথেষ্ট কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন তিনি। রক্তিম মুখার্জি বলেন, "একজন শিক্ষক হিসেবে নিজের রোলটা প্লে করতে পেরে খুবই গর্বিত"। (ছবি ও তথ্য: নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)

এছাড়াও, সংস্কৃতির নানা ক্ষেত্রে নিজেকে যুক্ত রাখা, ছাত্রদের সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে যেমন কুইজ, বিতর্ক, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা, যুব সংসদ প্রতিযোগিতা সফলভাবে পরিচালনা করেন তিনি। যুব সংসদ প্রতিযোগিতায় মাস্টার ট্রেনার হিসেবে নিযুক্তি। গাইড টিচার হিসেবে বিদ্যালয়কে জেলাস্তরের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন। (ছবি ও তথ্য: নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)

এর বাইরে বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করা, বিদ্যালয়ের পালিত দিবসগুলোকে যথাসাধ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করা। এছাড়া কলা উৎসব কমিটির সক্রিয় সদস্য ও বই মেলা কমিটির সদস্য হিসেবে নিযুক্ত। বিভিন্ন জায়গায় নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিচারক হিসাবে অংশগ্রহণ। (ছবি ও তথ্য নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)

সমাজসেবামূলক নানান কাজেও যুক্ত থাকেন। করোনা মহামারির সময়ে আর্ত, নিপীড়িত মানুষের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির বিতরণ, বৃদ্ধাশ্রমে আর্থিক সাহায্য প্রদান। রক্তদান শিবিরের আয়োজন ও রক্তদান বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও লায়ন্স ক্লাবের নানান সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ। সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টারের মেম্বার হিসেবে নিযুক্ত রক্তিমবাবু। (ছবি ও তথ্য নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)

পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরায় বাড়ি শিক্ষক রক্তিম মুখার্জির। আইসিএসসি বোর্ডে মাধ্যমিক দিয়ে সিবিএসসি বোর্ডে উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার পর নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর করেন তিনি। সর্বশেষ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন শিক্ষক রক্তিম মুখার্জি। বাঁকুড়া জিলা স্কুলে ২০০৪ সালের মার্চ মাস থেকে যোগদান করেন তিনি। (ছবি ও তথ্য নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)