হাওড়া জেলা জুড়ে দারুণভাবে প্রচলিত জরির কাজ। বর্তমানে জরির কাজে যুক্ত থাকা অধিকাংশ মানুষের শোচনীয় অবস্থা। কিন্ত এক সময় রমরমিয়ে জরির কাজে বাজার ছিল। হাওড়া জেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিল। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত সহজে প্রতিষ্ঠিত হতে জেলার যুবক এই কাজকেই বেছে নিত সবার আগে। জরির কাজে দক্ষ কারিগর হলে বেশ কদরও ছিল। দক্ষ কারিগরদের ভাল টাকা উপার্জনের সুযোগও থাকত। বর্তমান সময়ে ক্রমশ বাজার পড়ছে জরির কাজের। এমন সময় জরির সূচ-সুতো ব্যবহার করে চোখ ধাঁধানো শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলছে পাঁচলার শিল্পী অমল পল্যে।
advertisement
আরও পড়ুন: গরমের ছুটিতে তো কি, স্কুল কামাই করে না পড়ুয়ারা! কেন জানলে অবাক হবেন
প্রায় তিন-চার দশকের জরির কাজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে লকডাউনে গৃহবন্দী থেকে জরির কাজে ব্যবহৃত আরির সূচ এবং পলেস্টার সুতো দিয়ে তৈরি করেন পোট্রেট ছবি। দেশ নায়ক নেতাজি, মহত্মা গান্ধী, এপিজে আবদুল কালাম, প্রভুপাদ, মান্না দে, লতা মঙ্গেশকারের মত বিভিন্ন পোট্রেট ছবি এবং রামলালার মূর্তি তৈরি করেছেন শিল্পী অমল বাবু। ইতিমধ্যে এই কাজের প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন তিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ প্রসঙ্গে শিল্পী অমল পল্যে জানান, “এই কাজের দারুণ চাহিদা। শিল্পী ভাবনায় কাজ করতে পারলে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। ৫০-১০০ টাকার সুতো ব্যবহার করে হাজার হাজার টাকার জিনিস তৈরি করা যেতে পারে।”
রাকেশ মাইতি