স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়ার ২৫৯ নম্বর বুথের বিএলও তপন ধর দীর্ঘদিন ধরেই জানতেন তরুণের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা। নিজের দায়িত্বে তিনি প্রশান্ত দত্তের বাড়িতে তিনটি এনিউমারেশন ফর্ম পৌঁছে দেন। বাড়িতে থাকা পুরনো কিছু তথ্যের ভিত্তিতে প্রশান্ত দত্ত সেই ফর্মগুলি পূরণ করে জমা দেন। এরপর কমিশনের পোর্টালে ডিজিটাইজেশনের সময় তপন ধর দেখতে পান, পশ্চিম মেদিনীপুরের এক বিএলও ঠিক একই নাম ও তথ্য-সহ তরুণ দত্তের একটি ফর্ম আপলোড করেছেন। সন্দেহ হওয়ায় দুই বিএলও যোগাযোগ করেন এবং যাচাই করে নিশ্চিত হন, দু’জনের উল্লেখ করা তরুণ দত্ত একই ব্যক্তি। এরপর তপন ধর দ্রুত প্রশান্ত দত্তর বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানান।
advertisement
ছবি দেখেই নিশ্চিত হয়ে যান বাবা-মা। এরপরই তরুণ দত্তের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। জানা যায়, ব্যবসায় ক্ষতির কারণে মহাজনদের টাকা শোধ করতে না পেরে লজ্জা ও ভয়ের চোটে ২৬ বছর আগে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুরে বর্তমানে তিনি গড়ে তুলেছেন নতুন সংসার। সেই থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে তাঁর আর কোনও যোগাযোগ ছিল না। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ছেলে ও নাতির মুখ দেখে চোখের জল সামলাতে পারেননি প্রশান্ত দত্ত ও শান্তনা দেবী।
আরও পড়ুনঃ ৮ বিষয়ের জন্য প্রচুর শিক্ষক-শিক্ষিকা চাইছে নামী এই স্কুল, স্নাতক হলেই আবেদন করুন, রইল বিস্তারিত
প্রশান্ত দত্ত জানান, ২৬ বছর ধরে নিখোঁজ থাকার পরে হারানো ছেলেকে ফিরিয়ে দিল SIR। এত বছর পরে ছেলের খোঁজ পেয়ে খুব ভাল লাগছে। মা শান্তনা দেবীর কথায়, ধরেই নিয়েছিলাম, ছেলেকে আর কোনও দিন ফিরে পাব না। আজ ওর আর নাতির মুখ দেখে বুকের পাথরটা সরল। বিএলও তপন ধর বলেন, বাবা-মায়ের সঙ্গে ছেলের যোগাযোগ করিয়ে দিতে পেরে খুব ভাল লাগছে। স্থানীয় এলাকায় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু দত্ত পরিবারের এই আশ্চর্য পুনর্মিলন। ২৬ বছরের অপেক্ষার অবসানে তাই আনন্দে ভাসিয়েছে গোটা দত্ত পরিবার।






