রজনী আরও বলেন, সরকারি তরফে দেশের স্বরাষ্ট্র দফতর বা বিএসএফ আমার স্বামীর কোনও খবর দিতে পারছে না। শুধু এটুকুই জেনেছি সে পাকিস্তানে বন্দি। যে ১৭ বছর ধরে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সে কাজ করল, সে বর্ডার চিনবে না? আমার আশঙ্কা তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। তাঁকে ছাড়ানোর বিষয়ে সরকারি উদ্যোগ আমি সেভাবে দেখতে পাইনি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ‘দয়া করুন, আমি ভারতীয় হতে চাই…!’, এখানে ৩৫ বছরের ভরা সংসার! পাকিস্তান ফেরার চাপে আকুতি সারদা বাঈয়ের
বিএসএফের একটি দল রবিবার পূর্ণমের বাড়িতে এসেছিল ঠিকই কিন্তু তাঁদের আশ্বাস খুব একটা খুশি হতে পারেননি রজনীকে। আজ রজনী, তার আট বছরের ছেলে আরব, তার বোন পিংকি গুপ্তা, পূজা গুপ্তা ও ভাই সত্যপ্রকাশ গুপ্তা এই পাঁচজনে দুপুর দেড়’টা নাগাদ কলকাতা থেকে বিমানে চন্ডিগড় রওনা হন। সেখান থেকে তারা সড়কপথে পৌঁছবেন পাঠানকোট। ২৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের অফিসারদের সঙ্গে কথা বলবেন।কী অবস্থায় রয়েছে স্বামী, তা সেটা জানতে উদগ্রীব সকলে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে পাঠানকোট যাচ্ছেন বিএসএফ জওয়ানের স্ত্রী।
সংবাদ মাধ্যমের সামনে রজনী বলেন, আমি স্যারের সঙ্গে কথা বলব। যদি কোনও রেসপন্স না পাই তাহলে দিল্লির দরজায় কড়া নাড়ব। ওনারা খালি বলছেন ও ঠিক আছে। কিন্তু ওতো ইন্ডিয়াতে নেই, শত্রু দেশে রয়েছে। তাহলে আমি কি করে চিন্তা না করে থাকব। আমি মানছি আমার স্বামীর জন্য গোটা দেশ ভাবছে। কিন্তু কোনও কিছুই জানতে পারছি না। যে কারণে এই অবস্থাতেও আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে হচ্ছে। আমি কোনও খবর পাচ্ছি না, যদি এটুকুও জানতে পারতাম উনি ঠিক আছেন, তাহলে এই কন্ডিশনে আমি যেতাম না।
কাশ্মীরে ঘটনার জন্য সবাই ব্যস্ত। কিন্তু সেই সমস্যা যদি ১ বছর চলে, তাহলে আমার স্বামী কী এক বছর ধরে সেখানে আটকে থাকবে? ওর বন্ধুরা আমাকে জানিয়েছিল, ওর অফিস থেকে কোনও খবর দেওয়া হয়নি। ও যখন আটক হল তখন কেউ জানাল না কেন? যদি আমার স্বামীর কিছু হয়ে যায় তাহলে কাকে ধরব? আমার মনে হচ্ছে কিছু একটা গোপন করা হচ্ছে? ওখানে গিয়ে সেটা জানতে পারব? আমার বাচ্চা যখন আমাকে জিজ্ঞেস করে বাবা কোথায়? কোনও উত্তর দিতে পারি না। রোজ ভিডিও কলে কথা বলত, গত ছ’দিন ধরে কোনও কথা বলতে পারছে না, কান্নাকাটি করছে।
রাহী হালদার