ওড়িশায় জাজপুরে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের বারাবতী ব্রিজ থেকে একটি কলকাতা গ্রামী যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাস কুড়ি ফুট নিচে পড়ে যায়। বাসটিতে প্রায় পঞ্চাশ জনের মত যাত্রী ছিল। যার মধ্যে বেশিরভাগই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা। কেউ কাজের জন্য, কেউবা চিকিৎসা করাতে কেউ আবার পুরীর জগন্নাথ দেব দর্শনে ওড়িশা গিয়েছিলেন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসে করে তারা ফিরছিল। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মোট চারজন বাসিন্দা নিহত হয়েছে। এছাড়াও বহু সংখ্যক যাত্রী আহত হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: রামনবমীতে শহরজুড়ে বাড়তি নিরাপত্তা! শোভাযাত্রায় কী কী নির্দেশ থাকছে হাইকোর্টের? জানুন
আহত যাত্রীদের মধ্যে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার অন্তর্গত পদমপুর গ্রামের বাসিন্দা সেক মুজাফফর। তিনি ওড়িশা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী হাফেজা বিবি ও তার চার বছরের সন্তান সেক তানভীর। মুজাফফর কটকে মার্বেল টাইলসের কাজ করেন। তার দাদা জানান তার ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী এবং তাদের সন্তান ওই দুর্ঘটনায় পড়া ওই বাসে করেই ফিরছিল। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি। ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। ভাই দুর্ঘটনায় আহত এবং তার স্ত্রীও এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। তবে তাদের সন্তান সেভাবে আহত হয়নি।
পরিযায়ী পরিবারের সূত্রে আরও জানা যায় দীর্ঘ পাঁচ বছর সেক মুজাফফর ওড়িশায় কাজের সূত্রে রয়েছে। ইদের ছুটিতে বাড়ি আসেনি, পরিবারের এক সদস্যের বিয়েতে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ির ফেরার পথে স্ত্রী সন্তানসহ দুর্ঘটনার কবলে পরিযায়ী শ্রমিক। প্রতিবারই বাসে করেই যাতায়াত করে। এবারও বাসে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই এই দুর্ঘটনা পরিবারের মানুষকে উৎকণ্ঠায় ফেলেছে। ছেলের সুস্থতার খবর পেলেও ছেলে, বৌমা এবং নাতির মুখ দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে মুজাফফরের বাবা।
সৈকত শী