প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসের পর ফের আবার বোলপুর সার্কিট হাউসে একটি বৈঠকে বসেছিলেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) শুভম আগরওয়াল, কারখানা সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর শঙ্কর সরকার, ক্ষুদ্র ছোট, মাঝারি এবং বস্ত্র দফতরের প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: শীত যতই পড়ুক, জমবে না নারকেল তেল! কনকনে ঠান্ডাতেও থাকবে দিব্যি তরল, ৪ সেরা উপায় শিখে নিন
advertisement
বৈঠক চলাকালীন যোগ দেন (এসআরডিএ) চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডলও ওরফে কেষ্ট মণ্ডল। বৈঠক শেষে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “আমরা প্রাণপণে চেষ্টা করছি এই কারখানাটি যাতে আরও ভালভাবে চালানো যায়। আগের বোর্ড মিটিংয়ে কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সেগুলি আমরা নিশ্চিত করেছি। সেই প্রস্তাবগুলি আমরা রাজ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব।”
জানা গিয়েছে ১৯৬৩ সালে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে পথচলা শুরু করে এই সুতোকলটি। বর্তমানের মতন আগে এমন পরিস্থিতি মোটেও ছিল না, প্রথম দিকে অত্যন্ত লাভজনক জায়গায় ছিল এই শিল্প। প্রচুর সংখ্যক শ্রমিক কাজ করে উপার্জন করতেন। কিন্তু আটের দশকের শেষের দিকে ভগ্নপ্রায় হতে থাকে সুতোকলের অবস্থা। তবে অবশেষে রাজ্য সরকার ১৯৯০ সালে সুতোকলটি কিনে নেয়। কিন্তু তাতেও খুব একটা আশার আলো জ্বলেনি।
আরও পড়ুন: পোষ্য কুকুরকে বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে! নরেন্দ্রপুরের পশুকেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ
এরপর দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল কারখানাটি। মামলা গড়ায় হাই কোর্ট পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে কিছু শ্রমিককে সরিয়ে বাকিদের নিয়ে সুতোকলটি কাজ শুরু করলেও আগের জৌলুস ফেরেনি। সুতোকল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনের পর দিন সেটির উৎপাদন তলানিতে ঠেকেছিল।
জানা যায় আজ থেকে তিন বছর আগে ১২৫ জন স্থায়ী ও ৮৪ জন অস্থায়ী কর্মী এই মিলে কাজ করতেন। বর্তমানে এই সুতোকলে কর্মী সংখ্যাও হাতে গোনা কয়েকজন। ফলে অত্যন্ত লাভের মুখ দেখছে না সুতোকলটি৷
কয়েক বছর আগেই শ্রমিকদের তরফ থেকে প্রশ্ন উঠেছিল এখনই এই সুতোকলটি বাঁচাতে না পারলে মুখ থুবড়ে পড়বে। এরপরই সুতো কলটিকে পুনরুজ্জীবিত করতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একটি বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা। ওই বৈঠকের প্রায় ৯ মাস পর সুতোকলের কাজ কতখানি এগিয়েছে, আরও কী কী পরিকল্পনা রয়েছে, উৎপাদন আরও কী ভাবে বৃদ্ধি করা যায় এই সমস্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হয়। আর এর পরেই আশার আলো দেখছেন অনেকেই।






