নদিয়ার মাজদিয়া, কৃষ্ণগঞ্জ ইত্যাদি বিভিন্ন এলাকায় বর্ষাকালের এই সময়টাতে দেখা যায় একাধিক ভ্যানচালক প্রচুর পরিমাণে আমের শুকনো আঁটি থেকে বের হওয়া সদ্য আম গাছের চারা নিয়ে রাস্তা দিয়ে চলেছে। এই চারা গুলি বিভিন্ন বাড়ি থেকে তারা সংগ্রহ করে। আম খাওয়ার পরে সেই আঁটি আমরা হামেশাই বাড়ি আনাচে কানাচে ফেলে দিই। এরপর সেই আঁটি রোদে জলে শুকিয়ে সেখান থেকে বের হয় পুনরায় আমের চারা। সেই আমের চারা গাছ কখনও আমরা উপড়িয়ে ফেলে দিই কখনও বা গরু ছাগলে এসে মুড়িয়ে খেয়ে নেয়। তবে এই আমের চারা দিয়েই কিন্তু পুনরায় হতে পারে সুস্বাদু আম।
advertisement
বর্তমানে বিভিন্ন এলাকায় বহু মানুষ বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই আমের চারা সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন এরপর একত্রে সেগুলিকে স্থানীয় নার্সারিতে বিক্রি করে দেন। জানা যায় ৬০ থেকে ৭০ টাকা প্রতি শ হিসেবে এই চারা গুলি তারা নার্সারিতে বিক্রি করে থাকেন। এরপর নার্সারি লোকেরা সেই চারাগুলি দিয়ে পুনরায় আমের কলম বানান। সেই কলম গুলি স্থানীয় কৃষক কিংবা গৃহস্থ মানুষেরা কিনে এনে পরিচর্যা করে পুনরায় আমের কলম থেকে আমগাছ হওয়ার পরে ফলন ধরে সুস্বাদু আমের।
তবে এ বছর আমের আঁটি সংগ্রহকারী বহু মানুষ জানাচ্ছেন অন্যান্য বছরে তুলনায় খুবই কম সংখ্যক সংগ্রহ তারা করতে পেরেছেন আমের চারা। তার প্রধান কারণ এ বছর আমের ফলন কম হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই আমের আঁটিও তারা কম সংগ্রহ করতে পেরেছেন। তারা জানাচ্ছেন, বছরের এই সময়টাতে রোজগার কম হওয়ার কারণে এটি একটি সিজেনাল ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের।
Mainak Debnath