কৃষকরা বলছেন, শিলাবৃষ্টিতে পূর্বস্থলী, কালনা, মেমারি, মন্তেশ্বরের একটা বড় অংশের আলু চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রবিবার দুপুরে কোথাও কুড়ি মিনিট কোথাও তারও বেশি সময় ধরে ব্যাপক শিলা বৃষ্টি হয়। এর ওপর মুষলধারে বৃষ্টিও হয়েছে। তাতে আলু গাছ ভেঙে পড়েছে। জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এইসব জমিতে আর আলু মিলবে না বলেই আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
advertisement
আরও পড়ুন : লক্ষ্য বিনিয়োগ, উত্তরবঙ্গের পর এবার কলকাতা, ফের শিল্প বৈঠক নবান্নে
পূর্ব বর্ধমান জেলায় ব্যাপক পরিমাণে আলু চাষ হয়। অন্যান্য বছর সত্তর হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। এবার চাষের শুরুতেই অতি বৃষ্টিতে অনেক জমির আলুর বীজ পচে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ফলে অনেকেই আর দ্বিতীয়বারের জন্য চাষ করেননি। সব মিলিয়ে এবার ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। কিন্তু তারপরেও চরম প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে আলু চাষ। বারবার বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়া আলু চাষে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। তারপর প্রায় অর্ধেকের বেশি জমি ধসা রোগের কবলে পড়েছে। সে সব সামলানোর চেষ্টা চালিয়ে গেছেন চাষীরা। কিন্তু শিলাবৃষ্টির জেরে সেই চাষের ব্যাপক ক্ষতি হলো বলে জানাচ্ছেন কৃষকরা। শুধু আলু চাষের নয়, শিলাবৃষ্টিতে পেঁয়াজ ও অন্যান্য সবজি চাষেরও ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন : 'রাত দুটোয়' অধিবেশন ইস্যু! রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে মুখ্যসচিব
তবে এই শিলাবৃষ্টিতে মাথায় হাত পড়েছে পূর্বস্থলীর আম চাষিদের। তাঁরা বলছেন, সবে মুকুল এসেছিল। ভালো ফলন হবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু শিলাবৃষ্টি আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি করে দিয়েছে। কোনও মুকুলই আর আস্ত নেই। অনেক গাছের পাতা পর্যন্ত ঝরে গিয়েছে।
শরদিন্দু ঘোষ