ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসন ও বন দফতরকে জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, শীত পড়লেই এই গাছ কেটে ব্যবহার করা হয় ইট ভাটার ইট পোড়ানোর জন্য। এ নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) নিশা গোস্বামী বলেন, ‘অভিযোগ পেলে সবদিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুনঃ ধান চাষে নতুন আশার আলো! বাদশাভোগ ফলিয়ে লাভবান এগরার চাষিরা, সুগন্ধে ম ম করছে গ্রামবাংলা
advertisement
প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঠেকাতে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফি বছর সরকারিভাবেও বিভিন্ন জায়গায় গাছ বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। সুন্দরবনে ম্যানগ্রোভ কাটা ঠেকাতে পুলিশ ও বন দফতরকে কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়।
কিন্তু এইসব বিষয়কে তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্য দিবালোকে ঠাকুরান নদীর চরের ম্যানগ্রোভ ফাঁকা করে দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিন ম্যানগ্রোভ কেটে গাড়িতে ভরে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রবীন হালদার, অমূল্য দাসেরা বলেন, ‘চোখের সামনে দেখছি, নির্বিচারে চরের ম্যানগ্রোভ কেটে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা সেখানেই হয়তো মেছো ভেড়ি বানাবে। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে সুন্দরবন শেষ হয়ে যাবে।’
সাবিত্রী বৈদ্য, ময়না সর্দারেরা বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনের নজরাদারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লাগাতার গাছ কাটা চলছে। অথচ কেউই বাধা দিচ্ছে না।’ বিষয়টি নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধেই আঙুল তুলেছে বিরোধীরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘সুন্দরবন বাঁচাতে এত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, অথচ ম্যানগ্রোভ কেটে সাফ করে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন, বন দফতর কেউ যেন দেখতেই পাচ্ছে না। আসলে তৃণমূল নেতাদের মদতে এইসব কাজ হচ্ছে। আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়া হলে অবরোধ বিক্ষোভ করতে বাধ্য হব।’






