প্রতি বছর এই কাজ সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পালন করা হয়। সুন্দরবন বাঁচলে তবেই রক্ষা পাওয়া যাবে ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে। সেজন্য প্রতিবছর হাজার হাজার ম্যানগ্রোভ গাছ বসানো হয়। এই কাজে অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে সবুজ সংঘের।
advertisement
ম্যানগ্রোভ বসায় ‘মুক্তি’ও। ম্যানগ্রোভ বসানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও সরকারি উদ্যোগ অনস্বীকার্য। তবে এই গাছ অন্য গাছের মত বসানো সহজ নয়। এই গাছের বীজ সংগ্রহ করতে হয় ম্যানগ্রোভ গাছ থেকে। এজন্য যেতে হয় জঙ্গলে। অথবা নদীতে ভেসে আসা বীজ অথবা অঙ্কুরিত গাছ সংগ্রহ করা হয়। এরপর সেগুলি এনে বসানো হয় ছোট-ছোট পটে। এরপর সেগুলি বড় করা হয়। সময় লাগে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় মাস। তারপর গাছগুলিকে বসানো হয় নদীর চরে। এরপরেও কাজ শেষ হয় না।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গাছগুলি যাতে ক্ষতি না হয় তার জন্য চলে নিবিড় নজরদারি। সমস্ত পক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগে প্রায় ১-২ বছর। তারপর ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল নতুন করে তৈরি হয়। এই কঠিন কাজের ধাপ পার করলে তবেই একটু একটু করে রক্ষা করা যায় সুন্দরবনকে। এই ম্যানগ্রোভ রোপণ নিয়ে এক ম্যানগ্রোভ রক্ষী দক্ষিণ ২৪ পরগনার রমা মন্ডল জানান, “তাঁরা এই কাজ করেন। তাঁর মত আরও অনেক মহিলা রয়েছে। এই গাছগুলি বড় না হওয়া পর্যন্ত গাছগুলিকে দেখভাল করে বড় করাই লক্ষ্য সকলের।” এই ম্যানগ্রোভ গাছ কীভাবে সংগ্রহ করা হয় এ নিয়ে হরিসাধন মন্ডল জানিয়েছেন, “কাজটা মোটেই সহজ নয়। প্রথমে বীজ সংগ্রহ করতে হয়। তারপর সেগুলি থেকে চারাগাছ তৈরি করতে হয়। তারপর তাকে বড় করে রোপণ করতে হয়। এই কাজের একটাই লক্ষ্য সুন্দরবনে ম্যানগ্রোভ গাছের ঘনত্ব বৃদ্ধি করা ও নতুন চরে ম্যানগ্রোভ বসানো।”
নবাব মল্লিক