বুধবার সকালে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসারত অবস্থায় এই দিন দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর।
অন্যদিকে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে একটি আম গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে অভিযুক্ত অনিল মাহাতো। তাঁকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী নিয়ে যায় স্থানীয় হাসপাতালে।
আরও পড়ুন- সাগরদিঘি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ‘প্রার্থী’ দেবাশিসকে! তৃণমূলে ঝড়, তুমুল চাঞ্চল্য
advertisement
সেখানেও তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের স্থানান্তর করেন চিকিৎসকেরা। অনিল মাহাতোর বয়স আনুমানিক ৪৭ বছর। বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অনিল।
অনিল মাহাতো অবিবাহিত। কিন্তু মৃত ওই মহিলার সংসারে দুটি ছোট পুত্র সন্তান রয়েছে। মৃতের স্বামী উজ্জ্বল দাস শ্রমিকের কাজ করেন। এই দিন সকালে তিনি কাজে গিয়েছিলেন।লোক মারফত ঘটনার কথা শুনতে পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত মহিলার নাম অনামিকা দাস। বয়স আনুমানিক ২৭ বছর। বাড়ি নবদ্বীপ ব্লকের মহিশুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের খরের মাঠ এলাকায়। অভিযুক্ত অনিল মাহাতো ও বসবাস করেন ওই এলাকায়।
অভিযোগ, এদিন অনামিক দাস নামের মহিলার সঙ্গে কোনও বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অনিল মাহাতো। এরপরেই ঘরের ভেতরে ঢুকে মহিলার পেটে চাকু মারে অনিল।
আরও পড়ুন- বিনা চিকিৎসায় প্রয়াত মা, ছিল না সৎকারের টাকা, সেই কিশোর আজ ২ হাসপাতালের মালিক
ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ওই মহিলা। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় এই দিন দুপুরে মৃত্যু হয় অনামিকার।
পাশাপাশি অভিযুক্ত অনিল মাহাতোর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকেরা তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করে। অনিল মাহাতো বর্তমানে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে নবদ্বীপ থানার পুলিশ।
Mainak Debnath






