Inspiration: বিনা চিকিৎসায় প্রয়াত মা, ছিল না সৎকারের টাকা, সেদিনের কিশোর আজ ২ হাসপাতালের মালিক
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- hyperlocal
Last Updated:
Inspiration: নিজের মাকে পয়সার অভাবে চিকিৎসা না করাতে পারা, তারপর দাহ করতে না পারার আক্ষেপ থেকে জন্ম নেয় জেদ
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: এক সময় নিজের মায়ের মৃত্যুর পর মাকে দাহ করার পয়সা ছিল না বাঁকুড়া জেলার বাসিন্দা গৌতম মুখোপাধ্যায়ের। ছোট থেকে সকলে তাকে নটু বলে চিনত। তার পর সেই ছোট্ট ছেলেটি কাজ করেছে বহু জায়গায়। একসময় ভাতের হোটেলে থালা-বাসনা মাজত নটু। নিজের মাকে পয়সার অভাবে চিকিৎসা না করাতে পারা, তারপর দাহ করতে না পারার আক্ষেপ থেকে জন্ম নেয় জেদ।
পরিশ্রম, সততা এবং সংগ্রাম করে আজ বাঁকুড়ার গৌতম মুখোপাধ্যায় ওরফে নটু বলে যাকে সবাই চেনেন, তিনি এখন দুটি হাসপাতালের মালিক। বাঁকুড়ার বুকে কাটজুড়িডাঙা এবং আর একটি বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লকে। শুধু এখানেই শেষ নয়। দুটি মাল্টি স্পেশালিটি হসপিটাল ছাড়াও পরে একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে যাতে ব্যবস্থা থাকবে উচ্চ প্রযুক্তির হার্ট সার্জারির। লক্ষ্য থাকবে, হাসপাতালের ছাদের তলায় যাতে শুশ্রূষা পান সাধারণ মানুষ।
advertisement
advertisement
পাশাপাশি দীর্ঘ দিন ধরে “নটু দা” হাসপাতালের পরিষেবা ছাড়াও বাঁকুড়ার লক্ষতোড়া শ্মশানে সাধারণ মানুষকে দিয়ে এসেছেন সৎকারেরও পরিষেবা। গৌতম মুখোপাধ্যায়ের এই উত্থানের পিছনে রয়েছে সততা, পরিশ্রম এবং মানুষের সঙ্গে সখ্য। নিজের চারপাশের বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী এবং মানুষকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই হচ্ছে নটুদার মূলমন্ত্র।
বর্তমানে প্রায় ৪০০ জন কর্মী এবং ২০০ জনের উপর রোগীকে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি হসপিটাল রয়েছে। তিনি জানান “আমি তো আমার মায়ের চিকিৎসা করাতে পারিনি। মাকে দাহ করার পয়সাও আমার কাছে ছিল না। তাই আমি দুটি হসপিটাল বানিয়েছি এই তাগিদে যাতে অন্য কোনও সন্তানকে আমার মতো পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে না হয়।”
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
May 10, 2023 7:33 PM IST








