TRENDING:

Haldia: টাকা ধার নিয়ে ফেরাতে দেরি করায় বন্ধুকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে খু*ন! ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের

Last Updated:

Haldia News: বন্ধুর থেকে টাকা ধার নেওয়ার মূল্য জীবন দিয়ে চোকাতে হল বছর ২৩-এর সুজয় সাঁতরাকে। বন্ধুর হাতে খুন হয়েছিলেন অপর বন্ধু। পাঁচ বছর পর অভিযুক্ত মনোরঞ্জনকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল হলদিয়া মহকুমা আদালত।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
হলদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, সৈকত শী: বন্ধুর থেকে টাকা ধার নেওয়াই হল কাল। চোকাতে হয়েছে চরম মূল্য। ধারের টাকা ফেরত না দেওয়ায় বন্ধুকে খুন। পাঁচ বছর পর বন্ধুকে খুনের দায়ে কুড়ি বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের। ঘটনাটি হলদিয়ার দুর্গাচক থানা এলাকার।
দুর্গাচক থানা
দুর্গাচক থানা
advertisement

২০২০ সালের ১৩ মার্চ খুন হয়েছিলেন হলদিয়ার দুর্গাচকের বাসিন্দা সুজয় সাঁতরা (২৩)। তদন্তে উঠে আসে সুজয়ের বন্ধু তথা ওড়িশার বাসিন্দা মনোরঞ্জন দাসের নাম। ওড়িশার বাসিন্দা হলেও হলদিয়ায় একটি খাবারের দোকান খুলেছিলেন মনোরঞ্জন। ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর বিচার প্রক্রিয়ার পর হলদিয়া মহকুমা আদালত মনোরঞ্জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করল।

advertisement

আরও পড়ুনঃ ধান চাষে নতুন আশার আলো! বাদশাভোগ ফলিয়ে লাভবান এগরার চাষিরা, সুগন্ধে ম ম করছে গ্রামবাংলা

সুজয় এবং মনোরঞ্জন দু’জনেই বন্ধু ছিলেন। মনোরঞ্জন ওড়িশার জাজপুর জেলার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তালপুকুর এলাকায় একটি ইডলি, ধোসা ও চপের দোকান খুলে ব্যবসা করছিল। থাকত আত্মীয়ের বাড়িতে ভাড়ায়। গুদামের জন্য একটি পৃথক ঘরও মনোরঞ্জন ভাড়া করেছিল। মনোরঞ্জনের দোকানে ভালই যাতায়াত ছিল সময় সুজয়ের। ঘটনার দিনও তিনি বাড়ি থেকে বলে বেরোন যে, মনোরঞ্জনের কাছে যাচ্ছেন। কিন্তু রাত হলেও আর ঘরে ফেরেননি। সুজয়ের মা খোঁজখবর করেন। সুজয়ের ফোন প্রথমে বেজে যায়। পরে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। মনোরঞ্জনকেও এরপর দোকানে এবং বাড়িতে দেখা যায়নি।

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ সাক্ষাৎ বিশ্বকর্মা! হাতের স্পর্শে অবলীলায় সাইকেল, ভ্যান, রিকশা সারাই করছেন! দৃষ্টিহীন কৃষ্ণধন শান্তিপুরের ‘অন্ধের যষ্টি’

ছেলের কোন খোঁজ না পেয়ে পরের দিন অর্থাৎ ২০২০ সালের ১৪ মার্চ দুর্গাচক থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন সুজয়ের মামা সত্যেন্দ্রনাথ আচার। দুর্গাচক থানার পুলিশ তদন্তে নেমে জেরা করে মনোরঞ্জনের দোকানের দুই কর্মীকে। তারা সুজয়কে খুনের বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ মনোরঞ্জনের গুদাম থেকে সুজয়ের দেহ উদ্ধার করে। সুজয়ের দেহ কাঠের সঙ্গে বস্তায় ভরা ছিল। সারা দেহ ১৯টি ক্ষত ছিল। পুলিশের জেরায়, মনোরঞ্জনের দোকানের কর্মীরা জানান যে, কোদাল দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে সুজয়কে। তারা ঘটনাটি দেখে ফেলায় তাদের হুমকি দিয়েছিল মনোরঞ্জন।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, পুরোনো কোনও বিষয়ে বিবাদ থেকে মনোরঞ্জন সুজয়কে ডেকে এনে খুন করেছিল। জানা যায়, সুজয় মনোরঞ্জনের কাছে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন। আর সেই টাকা মনোরঞ্জন বারবার চাইছিল। ঘটনার দিন টাকা চাওয়া নিয়েই দুই বন্ধুর মধ্যে বিবাদ হয়। রাগের বশে মনোরঞ্জন সুজয়ের মাথায় কোদাল দিয়ে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় সুজয়।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
আয়ুষের জন্যই গর্বিত অশোকনগর, সুরের জাদুতে কাঁপাচ্ছে জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো এর মঞ্চ
আরও দেখুন

দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার পর হলদিয়া মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সত্যজিৎ মাইতি সাজা ঘোষনা করেন। মামলার স্পেশাল প্রসিকিউটর সৌমেন কুমার দত্ত জানান, ‘মনোরঞ্জন দাসের ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। অনাদায়ে এক বছর কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ বন্ধুর কাছে টাকা ধার নিয়ে ফেরত না দেওয়াটাই কাল হয়েছিল সুজয়ের। যা তাকে প্রাণের বিনিময়ে মেটাতে হয়েছে।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Haldia: টাকা ধার নিয়ে ফেরাতে দেরি করায় বন্ধুকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে খু*ন! ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল