নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে জমি বিবাদ প্রসঙ্গে গতকাল বিশ্বভারতীর উপাচার্যের কঠোর সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে গৈরিকীকরণ করার চেষ্টা চলছে বলে সোমবারই সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, কথায় কথায় কেন পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে, সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: অমর্ত্য সেনের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী! নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পাশে দাঁড়িয়ে বিরাট বার্তা মমতার
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম না করেই তাঁর ভূমিকা এবং যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কেন উপাচার্য আইন মানেন না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।সাম্প্রতিক সময় একাধিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে বারবার সরগরম হয়েছে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস। অন্যদিকে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক, পড়ুয়াদের সাসপেন্ডও করতে দেখা গেছে কর্তৃপক্ষকে।যা নিয়ে পড়ুয়ারা বারবার বিক্ষোভ করেছেন ক্যাম্পাসে।
শুধু তাই নয়, উপাচার্যকে ঘেরাও করতেও পিছপা হননি পড়ুয়ারা। আর উপাচার্য এবং কর্তৃপক্ষকে নিয়ে ক্ষোভের জেরেই এবার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছেন পড়ুয়াদের একাংশ। সেক্ষেত্রে আজ পড়ুয়া ও প্রাক্তনীদের একাংশের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অমর্ত্য সেনের বৈঠক বা মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের জমির তথ্য নিয়ে যে চিঠি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দিয়েছিল গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই জমির নথি নিয়ে বিশ্বভারতীর দাবিকে খারিজ করে দিয়েছেন। আর তার এই দাবিকে ঘিরে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস যে ফের সরগরম হতে চলেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। পৌষ মেলা নিয়েও সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বভারতী উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের। সেক্ষেত্রে এই দিনের বৈঠক যে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।