TRENDING:

বাঁশেই হয় রোজগার! পুজোর মরশুমে দারুণ লক্ষ্মীলাভ! বিকল্প আয়ের পথ দেখাচ্ছে জঙ্গলমহল

Last Updated:

Bamboo Decoration Item: প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকার সামান্য বাড়িতে বসে বাঁশ দিয়ে ঝুড়ি বা অন্যান্য জিনিস বানান নয়, বাঁশ দিয়ে তৈরি করছেন নানান সৌখিন জিনিস। যা তারা মূলত এই পুজো অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মণ্ডপ সজ্জার কাজে ব্যবহার করেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর, রঞ্জন চন্দ: পুজো এলেই কদর বাড়ে এদের। বছরে এই কয়েকটাই মাস রোজগার হয় তাদের। বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ সাজানোর জন্য বরাত আসে এদের কাছে। প্রান্তিক এলাকায় থেকেও বছরে এই কয়েকটা মাস লাভের মুখ দেখেন তারা। প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকার বাড়িতে বসে বাঁশ দিয়ে কেবল ঝুড়ি বা অন্যান্য জিনিস বানানো নয়, বাঁশ দিয়ে তাঁরা তৈরি করছেন নানান সৌখিন জিনিস। যা মূলত পুজো অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মণ্ডপ সজ্জার কাজে ব্যবহার হয়।
advertisement

বিভিন্ন মেলা, উৎসব অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন পুজোর সময় প্যান্ডেল ডেকোরেশনে ব্যবহার হয় বাঁশের তৈরি নানান জিনিস। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ব্যবহার্য সৌখিন জিনিসপত্র হিসেবে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। চুলের ক্লিপ, বিভিন্ন ওয়াল হ্যাংগিং থেকে ব্যবহার্য নানান জিনিস তৈরি হচ্ছে সম্পূর্ণ বাঁশ দিয়ে। আর তা থেকেই এই পুজোর মরশুমে দু’টো লক্ষ্মী লাভ হয় তাদের।

advertisement

আরও পড়ুনঃ ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধানে’ এসে হঠাৎই অজ্ঞান মহিলা! দেবদূতের মতো হাজির বিধায়ক! ‘নেতা’র চিকিৎসাতেই সেরে উঠলেন

বাড়ির সকলে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন সরকারি মেলা, বেসরকারি মেলা অথবা পাইকারি ও খুচরা দরে বিক্রি হচ্ছে বাঁশ দিয়ে তৈরি নানান জিনিস। স্বাভাবিকভাবে পারিবারিকভাবে বেশ লাভ জুটছে তাদের। পেশাগত ভাবে তারা বিভিন্ন ব্যান্ডের সরঞ্জাম বাজান। তবে অতিরিক্ত রোজগারের আশায় তারা এই সৌখিন জিনিসপত্র বানিয়ে বিক্রি করেন বাজারে। প্রত্যন্ত গ্রামের এই পরিবার দিচ্ছে স্বনির্ভর হওয়ার এক নতুন দিশা।

advertisement

আরও পড়ুনঃ পরিত্যক্ত হোটেলের বাগানে ঝুলছে পচা দেহ! দুর্গন্ধে টেঁকা দায়! গৃহবধূর এমন পরিণতি কীভাবে?

পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলের একটি ছোট্ট গ্রাম। এই গ্রামে বসবাস বেশ কয়েকটি পরিবারের। গ্রামের অধিকাংশ পরিবার যুক্ত বাঁশের তৈরি ঝুড়ি বা অন্যান্য জিনিস প্রস্তুতিতে। তবে, প্রথাগত সেই ঝুড়ি বা অন্যান্য জিনিস না তৈরি করে বাঁশ দিয়ে নানান সৌখিন জিনিসপত্র বানিয়ে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়েছে এই পরিবার। বাড়ির সকলে কম বেশি যুক্ত এই কাজে।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

বাড়ির পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও অন্যান্য সাংসারিক কাজের পর তৈরি করেন এই সৌখিন জিনিস। তাদের কাছে যেমন পেন স্ট্যান্ড, টেবিল ল্যাম্প, চুলের ক্লিপ-সহ একাধিক জিনিস রয়েছে তেমনই তারা নিজেরাই প্রস্তুত করেন ঢাক, বাঁশিও। এছাড়াও তাদের হাতের তৈরি নানান জিনিস জেলার পাশাপাশি অন্যান্য জেলাতেও মণ্ডপ সজ্জার কাজে ব্যবহৃত হয়।।

advertisement

প্রসঙ্গত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চাঁদড়া সংলগ্ন ছোট্ট গ্রাম বেলিয়া ভূঁইয়াহাতা। এই গ্রামের দুই ব্যক্তি করুণা কালিন্দি এবং দীনবন্ধু কালিন্দি শুরু করেছেন বাঁশ দিয়ে নানা সৌখিন জিনিস তৈরির কাজ। বংশ পরম্পরায় তারা বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করতেন। বিকল্প আয় হিসেবে এই মণ্ডপ সাজানোর জিনিস তৈরি করছেন। তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেন বাড়ির মহিলারাও।

তাদের তৈরি এই সকল জিনিস বিক্রি হয় বিভিন্ন মেলা, উৎসব অনুষ্ঠানে। শুধু তাই নয় বড় বাজেটের দুর্গাপুজো কিংবা অন্যান্য প্যান্ডেল থিমেও তারা তাদের সৌখিনতা প্রদর্শন করেন। স্বাভাবিকভাবে প্রত্যন্ত গ্রামের এই পরিবারের উদ্যোগ এবং তাদের সৌখিনতা ও শৈল্পিক ভাবনা অবাক করবে সকলকে।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বাঁশেই হয় রোজগার! পুজোর মরশুমে দারুণ লক্ষ্মীলাভ! বিকল্প আয়ের পথ দেখাচ্ছে জঙ্গলমহল
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল