মহাপ্রভুর নবযৌবন উৎসবের দিনে একমাত্র যেখানে মাহেশের জগন্নাথ দেবকে পরানো হয় রুপোর হাত। স্নানযাত্রা যাত্রা উৎসবের পর জগন্নাথ দেবের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। তাই মহাপ্রভুকে একদম একান্তে মন্দিরের গর্ভগৃহে ১৫ দিনের জন্য নিভৃতবাসে রাখা হয়। এই ১৫ দিন মন্দিরের সমস্ত দরজা বন্ধ থাকে এমনকি ভক্তদের জন্য নামকীর্তনও বন্ধ থাকে ওই সময়।
advertisement
১৫ দিন বাদে মহাপ্রভু সুস্থ হয়ে উঠলে সেই দিনটিকে পালন করা হয় নবযৌবন উৎসব রূপে। এদিন মহাপ্রভু জন্য ৫৬ রকম ভোগ নিবেদন করা হয়। একইসঙ্গে এই দিনে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা তিনজনকে হাত ও অলঙ্কার পরিয়ে নতুন রূপে রাজ বেশে সাজানো হয়।
কথিত রয়েছে, জগন্নাথ দেব এই দিন জ্বর থেকে সেরে উঠে মহানন্দে থাকেন। দীর্ঘ ১৫ দিন মন্দিরের মধ্যে নিভৃতবাসে থাকার পর আজই প্রথম মহাপ্রভুকে দর্শন জন্য মন্দিরের দরজা খোলা হয়। এই নবযৌবন উৎসবের এক বিশেষ মাহাত্ম্য হলো জগন্নাথ দেবের হাত। নবযৌবন উৎসবের দিন জগন্নাথ দেবের শরীরে হাত লাগানো হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই দিন জগন্নাথ দেব রাজবেশে থেকে সমস্ত ভক্তদের দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেন। এই একটি দিনই জগন্নাথ দেবের শরীরে হাত দেখতে পাওয়া যায়।
মাহেশের নবযৌবন উৎসবের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছিল একদম সকাল থেকেই। ঘড়ির কাঁটায় সাত’টা বাজতে না বাজতেই মন্দিরের মূল ফটক-সহ গর্ভগৃহের দরজা খুলে দেওয়া হয় ভক্তদের জন্য। এদিন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেও পালিত হয় নবকলেবর উৎসব। সেখানেও জগন্নাথ দেবকে জাঁকজমক করে তার আরাধনা করা হয়। ঠিক তার একদিন বাদেই মূল রথযাত্রা উৎসব। কথিত রয়েছে, এই নবযৌবন উৎসবের পরেই জগন্নাথ দেব রথে চড়ে ঘুরতে বের হবেন মাসির বাড়ি।
রাহী হালদার