এই বছর তাঁদের পুজো ৩০ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। বর্তমানে দুর্গাপুরের বিগ বাজেট জগদ্ধাত্রী পুজোর মধ্যে এই ক্লাবের পুজো অন্যতম। দুর্গাপুরে এক সময় হাতেগোনা কয়েকটি জগদ্ধাত্রী পুজো হত। তার মধ্যে অন্যমত দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের শিবাজী এলাকার দুর্গাপুর অরবিন্দ স্পোর্টিং অ্যাসোসিয়েশনের পুজো। প্রতি বছর শহর সহ আশেপাশের বহু গ্রাম থেকে বহু দর্শনার্থী এই পুজোর থিম ও মণ্ডপ দেখতে ভিড় করেন।
advertisement
মণ্ডপ ও প্রতিমার পাশাপাশি এখানে বিশাল মেলা বসে। সেই সঙ্গেই এই পুজো কমিটি প্রতিবছর পুজোর চার-পাঁচ দিন মণ্ডপ চত্বরে অস্থায়ী মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তাঁদের আয়োজিত সঙ্গীত অনুষ্ঠান বেশ আকর্ষণীয় হয়।পাশাপাশি এখানে নিষ্ঠার সঙ্গে দেবী জগদ্ধাত্রীর পুজো সম্পন্ন হয়। কৃষ্ণনগর, চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য জনপ্রিয় হলেও দুর্গাপুরের একটুকরো কৃষ্ণনগর বা চন্দননগর হয়ে ওঠে স্টিল টাউনশিপের শিবাজী এলাকা। ওই পুজো কমিটির আকর্ষণীয় থিমের পাশাপাশি অত্যাধুনিক আলোকসজ্জায় মণ্ডপ চত্বর আলোকিত হয়ে ওঠে।
প্রতিবছরই এই মণ্ডপ ও প্রতিমা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে। তবে এবার তাঁদের পুজোর থিম ‘মহাভারত’ বিশেষ নজর কাড়ছে বলে দাবি পুজো উদ্যোক্তাদের। বাঁশ ও কাপড়ের টুকরো দিয়ে অসাধারণ মণ্ডপ ও মহাভারতের নানা চরিত্র তুলে ধরেছেন নবদ্বীপের শিল্পী। বুধবার থেকে ৫ দিন ধরে চলবে এই পুজো। বিশাল মণ্ডপের ভিতর প্রবেশ করেই মহাভারতের নানা চরিত্র দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুজো মণ্ডপে মহাভারতের কাহিনীর আদিপর্ব থেকে সভাপর্ব, পাণ্ডবদের রাজসূয় যজ্ঞের বর্ণনা এবং দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের ঘটনা বর্ণিত আছে। সেই সঙ্গেই পাণ্ডবদের বনবাসের কাহিনি, ভীষ্মপর্ব, দ্রোণপর্ব তথা দ্রোণাচার্যের যুদ্ধ ও পতন দেখানো হয়েছে। শেষে মহাপ্রস্থানিক পর্বে পাণ্ডবদের শেষযাত্রার চিত্রও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সব মিলিয়ে, ছোট-বড় সকলের কাছেই এই মণ্ডপটি যথেষ্ট আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।





