এখানেই প্রতিদিন আড্ডা দেওয়া অভিভাবিক স্নেহা সাহা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, “ঘটনাটি যদি দিনের বেলায় ঘটত, তাহলে বড় ধরনের প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। আমাদের ভাবতেই ভয় লাগছে, এখানে বসেই আমরা কত সময় কাটাই। এখন ভাবলেই ভয় লাগছে।” আর এক অভিভাবিক ব্রততী পাল বলেন, সন্তানরা এই স্কুলে পড়ে। যদি স্কুলে প্রবেশ কিংবা বেরোনোর সময় ঘটতো তাহলে ছাত্ররাও আহত হতে পারত। পুলিশের অবিলম্বে এই এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো উচিত।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পচা পুকুরে ভেসে উঠল নিখোঁজ শিশুর দেহ! শিউরে ওঠা দৃশ্য, জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে সরব এলাকাবাসী
প্রসঙ্গত, মধ্যমগ্রাম স্টেশন সংলগ্ন মধ্যমগ্রাম হাই স্কুলের গেটের সামনে মুক্তমঞ্চের কাছে বোমা বিস্ফোরণকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। রবিবার গভীর রাতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন সচিদা নন্দ মিশ্র (২৫)। তার বাড়ি উত্তরপ্রদেশে বলে জানা গিয়েছে। পরে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মধ্যমগ্রাম পৌরসভার পৌরপ্রধান নিমাই ঘোষ।
আরও পড়ুনঃ এক একটি বেডে ৩ জন রোগী! চিকিৎসার নামে চলছে… বিধায়কের ঘোষণার পরও এই হাসপাতালে অনিয়ম অব্যাহত
মন্ত্রী বলেন, মধ্যমগ্রামে এ ধরনের ঘটনা স্বাভাবিক নয়। বাইরে থেকে বিস্ফোরক কীভাবে এল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্ত যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে হচ্ছে। শুধু ঘটনাস্থল নয়, তিনি স্কুল প্রাঙ্গণও ঘুরে দেখেন। ঘটনার মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে এসেছে। তবে স্কুল চত্বরে কোনও বিস্ফোরক মেলেনি বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। তিনি অভিভাবক ও ছাত্রদের আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, একাধিকবার গোটা এলাকা তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে সকালে এ ঘটনা ঘটলে বড় ক্ষতি হতে পারত।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পৌরপ্রধান নিমাই ঘোষ জানান, মুক্তমঞ্চ এলাকায় নিয়মিত নানা অনুষ্ঠান হয়। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানানো হবে। বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে মধ্যমগ্রামে এসেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। এনআইএর প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পাশাপাশি বারাসাত মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে মৃত যুবকের দেহ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করেছে বলেও জানা গিয়েছে। বর্তমানে ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাপা আতঙ্ক রয়েছে। তবে অভিভাবকরা জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর ওই জায়গায় আড্ডা দিতে রীতিমতো ভয় করবে তাদের। এখন দেখার কতদিনে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরে মধ্যমগ্রামের এই জনবহুল এলাকা।