বাকি আহতদের ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়েছিল কুকুরটির তাণ্ডব। প্রথমে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরের গুড়গ্রামে পাঁচজন পথচারীকে আক্রমণ করে কুকুরটি।
advertisement
আতঙ্কে গ্রামবাসীরা লাঠিসোঁটা হাতে কুকুরটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করে, কিন্তু অন্ধকার নেমে আসায় আর সম্ভব হয়নি। রাতেই খবর ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের গ্রামে। ততক্ষণে কুকুরটি গুড়গ্রাম থেকে মহম্মদপুরের দিকে চলে যায়।
দূরত্ব প্রায় পাঁচ কিলোমিটার হওয়ায় মহম্মদপুরের বাসিন্দারা ঘটনাটি জানতে পারেননি। সেই সুযোগে কুকুরটি সেখানেও একাধিক পথচারী ও এক সাইকেল আরোহীকে আক্রমণ করে। শুক্রবার মহম্মদপুর মধ্যম পাড়ায় ঢুকে পড়ে কুকুরটি। সকালবেলা মাঠে যাওয়ার পথে কয়েকজন গ্রামবাসী আক্রান্ত হন। এমনকি এক শিশু মন্দিরে বসে থাকার সময় কুকুরটি তাকে আক্রমণ করে বাঁ হাতের একটি আঙুল ছিঁড়ে নেয়। এক বৃদ্ধের পায়ের মাংস খুবলে নেয় কুকুরটি।
আহতদের মধ্যে তিনজন মহিলা রয়েছেন। প্রত্যেককে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভগবানপুর-১ ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক সতীশ কুমার জানান, “আহত ১২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে, দু’জনকে তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজে পাঠান হয়েছে।” ভগবানপুর-১ বিডিও বিকাশ নস্কর জানান, “প্রাণী সম্পদ দফতরকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আমাদের কাছে কুকুর ধরার কোনও সরঞ্জাম নেই।” দুই গ্রামে পাগল কুকুরের এই তাণ্ডবে গ্রামবাসীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এখনও অনেকেই ঘর বন্দি হয়ে রয়েছে। গ্রামের রাস্তাঘাটে চলাচল কমে গিয়েছে।