Plugged Ear: যখন তখন কানে তালা ধরে যাচ্ছে? অসহ্যকর অস্বস্তি, ১ মিনিটে কমবে এই উপায়ে! কোনও বড় রোগের লক্ষণ নয় তো? এখনই জানুন
- Published by:Ankita Tripathi
- news18 bangla
Last Updated:
Plugged Ear: কখনও কখনও কানে জল চলে গেলে কানে তালা পড়ে যায়। বিমানে ভ্রমণের সময়, পাহাড়ে যাওয়ার সময়ও বা ঠান্ডা লাগলে জ্বর হলে অনেক সময় কানে তালা অনুভূত হয়।
যখন তখন কান বন্ধ বা কানে তালা পড়ে যায়। চেনা এই সমস‍্যায় কমবেশি সকলকেই পড়তে হয়েছে। কখনও কখনও কানে জল চলে গেলে কানে তালা পড়ে যায়। বিমানে ভ্রমণের সময়, পাহাড়ে যাওয়ার সময়ও বা ঠান্ডা লাগলে জ্বর হলে অনেক সময় কানে তালা অনুভূত হয়।
advertisement
এই সমস্যাকে ক্লগড ইয়ার বা ইয়ার ব্লকেজ বলা হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই অবস্থায় অস্বস্তি অনেক বেড়ে যায়। ভীষণই অস্বস্তিকর এই অবস্থা। কিন্তু কানে তালা পড়ার সমস‍্যা কাটানোর উপায় কী? এটি কি কোনও রোগের লক্ষণ?
advertisement
অডিয়োলজিস্ট চিকিত্‍সক ক্লিফ ওলসন তার সোশ‍্যাল মিডিয়া চ‍্যানেলে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। এই ভিডিও তিনি বিশদে জানিয়েছেন কানে তালা ধরে যাওয়া কীভাবে ছাড়ানো যায়।
advertisement
ভালসালভা মেথড: অডিয়োলজিস্ট জানালেন বন্ধ কান খোলার এটিই সবচেয়ে সহজ এবং জনপ্রিয় উপায়। নাককে আঙ্গুল দিয়ে বন্ধ করুন এবং মুখও বন্ধ রাখুন। এখন হালকা করে বাতাসে ফুঁ দেওয়ার চেষ্টা করুন। যেন নাকের ভিতর থেকে বাতাস বাইরে বের হচ্ছে। এতে কানের ভিতরের চাপ সমান হয়ে যায় এবং কান খুলে যায়। তবে, এটি করতে গিয়ে খুব জোরে বাতাস ছাড়বেন না
advertisement
লাওরি মেথড (Lowry Method): এই উপায়ও অনেকটা ভালসালভা মেথডের মতোই। শুধু এক্ষেত্রে ফুঁ দিতে দিতেই বাতাসকে গিলে নিতে চেষ্টা করুন। এতে বাতাস সহজে কানের ভিতর পৌঁছায় এবং ব্লকেজ দ্রুত খুলতে পারে।
advertisement
হাই তোলা: সব চেয়ে আলাদা এই পদ্ধতি। শুধু এক বা দুই বার বড় হাই তোলার চেষ্টা করুন। এতে ইউস্টেশিয়ান টিউব খুলে যায় এবং বাতাসের সমতা বজায় থাকে। বন্ধ কান খোলার এটি সবচেয়ে সহজ উপায় হতে পারে।
advertisement
অডিওলজিস্ট জানালেন যদিও উপরের পদ্ধতিগুলিতেও কানে তালা ধরা না ছাড়ে, তাহলে কী করবেন? তাহলে কি এই কানে তালা ধরা আসলে অন‍্য কোনও শারীরিক সমস‍্যার ইঙ্গিত?
advertisement
অডিয়োলজিস্ট জানালেন এর পেছনে অন‍্য কারণও থাকতে পারে। কানে ময়লা বা ইয়ার ওয়াক্স জমা হলে, মিডল ইয়ারে ফ্লুইড থাকলেও হতে পারে এই সমস‍্যা। এই অবস্থায় বাড়িতে চিকিৎসা করার পরিবর্তে তৎক্ষণাৎ কোনো অডিয়োলজিস্ট বা ইএনটি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করাই শ্রেয়।
advertisement
কান বন্ধ হওয়া সাধারণ ব্যাপার, কিন্তু যদি এটি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তাহলে এটি উপেক্ষা করবেন না। কিন্তু যদি তবুও আরাম না মেলে, তাহলে বিশেষজ্ঞের কাছে পরীক্ষা করানোই সবচেয়ে নিরাপদ উপায় বলে জানালেন অডিওলজিস্ট। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)