ওই ব্যক্তির নাম তন্ময় সাঁতরা। তিনি শক্তিগড় থানার বড়শুলের বাসিন্দা। এ দিন বিকেলে তিনি স্কুটি নিয়ে বড়শুল থেকে বর্ধমান যাচ্ছিলেন। গাংপুরে উড়ালপুলে ওঠার পরে আচমকাই ওই মাঞ্জা সুতো তাঁর গলায় জড়িয়ে যায়। বাইকে ও তাঁর পিঠে থাকা ব্যাগেও সুতো জড়িয়ে যায়। গতিবেগ কম থাকায় তন্ময়বাবু স্কুটি থামিয়ে দিতে সক্ষম হন। মাঞ্জা সুতোয় তাঁর ব্যাগের ফিতে কেটে পড়ে যায়। তন্ময়বাবুর গলা ও শরীরে চোট লেগেছে। তন্ময়বাবুর পিছনে আর এক জন বাইক আরোহী ছিলেন। তাঁর বাইকেও সুতো জড়িয়ে যায়। তবে তিনি আঘাত পাননি।
advertisement
আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে বিকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে এবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আদালত
তন্ময়বাবু এদিন বলেন, "কলকাতায় মা উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জা সুতোয় দুর্ঘটনার কথা শুনেছি। কিন্তু আমাদের এখানেও যে এমন ঘটতে পারে, কল্পনাতেই ছিল না। এ দিন কপাল জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। জাতীয় সড়কে যে ভাবে চিনা মাঞ্জা পড়েছিল তাতে গলা কেটে গেলে বা স্কুটি থেকে পড়ে গেলে কী ঘটত কে জানে। আমি পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে পদক্ষেপ করতে বলবো।"
আরও পড়ুন: পুরভোটের মুখে বাম শিবির ছেড়ে তৃণমূলে, হাওড়ায় রাজনীতিতে বড় বদলের ইঙ্গিত
সামনেই পৌষ সংক্রান্তি। ওই দিন বর্ধমান ও সংলগ্ন এলাকায় ঘুড়ির মেলা হয়। শীতের শুরু থেকেই শহর ও সংলগ্ন এলাকায় আকাশে ওড়ে রঙবেরঙের ঘুড়ি। আগে মাঞ্জা করা সুতোয় ঘুড়ি ওড়ানো হত। এখন সেই জায়গা নিয়েছে চিনা মাঞ্জা। এই সুতো সাধারণ মাঞ্জা সুতোর থেকে অনেক শক্ত ও ধারাল। ফলে ঘুড়ি কাটার পর যে সুতো রাস্তায় পড়ে, তাতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
শরদিন্দু ঘোষ