প্রায় ৩৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে এই পুজো। আগে এখানে দেবীর কাছে নৈবেদ্য হিসাবে দেওয়া হত ২১ মণ চাল। তবে এখন তা কমতে কমতে ৬ মণে এসে দাঁড়িয়েছে। এই পুজো মন্দিরবাজারের সবচেয়ে প্রাচীন পুজো বলে জানিয়েছেন নস্করবাড়ির প্রবীণ ব্যক্তি পঞ্চানন নস্কর। বর্তমানে পুজোর জৌলুস কিছুটা কমেছে। তবে ঐতিহ্য এখনও একই রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অভাবের তাড়নায় বাস্তবের ‘অসুরে’র মোকাবিলা! সন্তানদের জন্য সারাবছর চলে ‘জ্যান্ত দুর্গা’দের লড়াই
জানা যায়, বাংলার নবাব হুসেন শাহের সময় রায়দিঘীর ছত্রভোগের বাসিন্দা রামচন্দ্র নস্কর ছিলেন নবাবের দেওয়ান। একসময় এই রামচন্দ্রের পৌত্র রামজীবন নস্কর ও তাঁর ৫ ভাই মন্দিরবাজারের জগদীশপুরে চলে আসেন। তাঁরা ৬ জন মিলে শুরু করেছিলেন এই পুজো। সেই থেকে এই পুজো ছয় বুড়োর পুজো হিসেবে পরিচিত।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নবাবি আমলে মহাধুমধাম করে এই পুজো হত। বর্তমানে জৌলুস কিছুটা কমেছে। তবে ইতিহাস ও ঐতিহ্যে এতটুকুও ভাটা পড়েনি। আজও পুজোর দিনগুলিতে গমগম করে নস্করবাড়ির প্রাঙ্গন। পুরনো সব দিনের কথা স্মরণ করে চন্ডীমণ্ডপে বসে আজও নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েন নস্কর পরিবারের সদস্যরা। প্রতি বছরের মত এই বছর আবারও এই ঐতিহাসিক পুজো দেখতে ভিড় হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।