হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ ও সন্দেশখালি-১ ও ২ ব্লক, মিনাখাঁ ও হাড়োয়ার মত ব্লক আছে। বসিরহাট মহকুমা জুড়ে প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষের বাস। যা রাজ্যের অন্যতম বড় মহাকুমা বলে পরিচিত। তাই এবার পর্যটন শিল্পের হাত ধরে এখানে যাতে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা ভিড় জমায় সেই চেষ্টা শুরু হয়েছে। তার জন্য পর্যটন শিল্পের উপরে নজর দেওয়ার দাবি তুললেন বসিরহাটের মানুষ। ইতিমধ্যেই ইউনেস্কো সুন্দরবনকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। সুন্দরবনে ১০২ টি দ্বীপ রয়েছে। যারমধ্যে ৪৮ টি দ্বীপ আবার অরণ্য ঢাকা। এছাড়া ৬৬ টি প্রজাতির গাছ রয়েছে। কাঁকড়া, হেতাল, ক্যাওড়া, সুন্দরী, গরান, গাওয়া সহ একাধিক ম্যানগ্রোভ রয়েছে। কমবেশি প্রায় ১৫৮৬ টি প্রজাতির প্রাণীর বাসভূমি এই সুন্দরবন। যার মধ্যে ভয়ঙ্কর রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার গোটা বিশ্বের কাছে পরিচিত।
advertisement
আরও পড়ুন: প্লাস্টিকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় না পেরে মুছে যাওয়ার পথে আরও এক পুরনো শিল্প
সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও ফুল গাছ রয়েছে। বসিরহাটের মানুষের আরও দাবি, সুন্দরবনের নিজস্ব সম্পদকে আরও কিছুটা ঘষামাজা করে তা যাতে সর্বস্তরের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলে সরকার। এর ফলে এলাকার বহু মানুষের রুটি-রুজির সমস্যা দূর হবে, কর্মসংস্থান হবে অনেকের, এমনটাই আশা করছেন সবাই। বসিরহাটের সমাজকর্মী ছন্দক বাইন বলেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সুন্দরবনের গরিমা সারা বিশ্বের কাছে প্রসিদ্ধ। সেটাকে আরও বেশি করে শিল্পায়নমুখী করতে যদি রাজ্য সরকার যদি আরও বেশি উদ্যোগী হয়, তাহলে কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।
জুলফিকার মোল্যা