১৯৬৩ সালে তৈরি হয়েছিল এই সমবায় সমিতি। জন্ম লগ্ন থেকে এই সমবায় বামেদের দখলে। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর তিনবার এই সমবায় সমিতিতে ভোটাভুটি হয়েছিল। শেষ নির্বাচনের ফল অনুযায়ী, সমবায় সমিতির ১৫টি আসন ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে ও বামেদের দখলে ছিল ৩২টি আসন।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরার চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন, লড়বে তৃণমূল? ইঙ্গিত দিলেন সুস্মিতা দেব
advertisement
মোট ৪৭ জন ডেলিগেট মেম্বারদের মধ্যে আজকে ৪৪ জন ভোটাভুটিতে অংশ গ্ৰহণ করেন। অনাস্থা প্রস্তাবের বিপক্ষে ২৩টি ভোট পড়ে এবং অনাস্থার পক্ষে ২১টি ভোট পড়ে।
আরও পড়ুন: ‘ঠিকই বলছেন...’ সমর্থন দিলীপের! ফেসবুক লাইভে এমন কী বললেন অনুপম হাজরা?
বামেদের হাত থেকে সমবায় সমিতি নিজেদের দখলে নিতে গিয়ে ভোটাভুটিতে হেরে কার্যত মুখ পুড়ল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের৷ সমবায় সমিতির বোর্ড অফ ডিরেক্টর দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, 'বামেরা যে দুর্নীতিগ্রস্ত নয় এবং সমিিতর গ্রাহকদের অর্থ তছরূপ করে না, এই ফলে সেটাই প্রমাণিত হল৷' ভোটাভুটি উপলক্ষে এ দিন কড়া পুলিশি নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছিল৷
রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পর যেভাবে নির্বাচনী বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে বামেদের, তাতে যে কোনও স্তরের ছোট- বড় নির্বাচনে সামান্য সাফল্যও বাম নেতৃত্বকে উজ্জীবিত করছে৷ তাহেরপুরে পুরবোর্ড গঠন থেকে শুরু করে বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ভাবে ভোট প্রাপ্তির হার বৃদ্ধি, এসবই ইতিবাচক ইঙ্গিত বলেই মনে করছে বাম নেতৃত্ব৷
যে সিঙ্গুর থেকে একসময় বাম দুর্গের পতনের শুরু হয়েছিল, সেখানেই তৃণমূলের অনাস্থা প্রস্তাব রুখে দিয়ে সমবায় সমিতি দখলে রাখতে পারাও কর্মী, সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করছে বাম নেতৃত্ব৷ যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব৷
Rana Karmakar