আরও পড়ুন: চারকোল থেকে টেরাকোটা, সব শিল্পকর্মেই সিদ্ধহস্ত নবম শ্রেণির পড়ুয়া
আসানসোলের এই মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের বংশধর জানান, মন্দিরটি প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ বছরের পুরনো। দেবী কল্যাণেশ্বরী সেন রাজ বংশের কুলদেবতা ছিলেন। সেন রাজ বংশের রাজা কল্যাণী প্রসাদের হাতে দেবী কল্যাণেশ্বরীর প্রতিষ্ঠা হয়। তারপর থেকে এখানে পুজো হয়ে আসছে। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মন্দিরে কোনও মনস্কামনা জানালে তা কখনও অপূর্ণ থাকে না।
advertisement
মনস্কামনা পূরণের উদ্দেশ্যে প্রত্যেকদিন এই মন্দিরে বহু ভক্তদের ভিড় হয়। শনি, মঙ্গলবার ভিড় থাকে সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া বিশেষ বিশেষ তিথিগুলিতে পুজো দেওয়ার জন্য ভক্তদের লম্বা লাইন লক্ষ্য করা যায়। কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে কালীপুজোর দিন শুধু পশ্চিম বর্ধমান বা বাংলার মানুষ নন, বিহার এবং ঝাড়খন্ড থেকেও বহু ভক্তরা এখানে পুজো দিতে আসেন। এমনকি দেশের বাইরে থেকেও বেশ কিছু ভক্ত মাঝে মধ্যে আসেন বলে জানিয়েছেন প্রধান পুরোহিত।
কালীপুজোর দিন গভীর রাত পর্যন্ত বিশেষ পুজো হয়। সন্ধের পর থেকে ভক্তদের ভিড় জমতে থাকে। রাত একটা-দেড়টা পর্যন্ত চলে পুজো। তারপর মন্দিরের বাইরে হয় দেবীর বিশেষ ভাণ্ডারা। মন্দিরে আগত সমস্ত ভক্তদের ভোগ প্রসাদ খাওয়ানো হয়। দেবী কল্যানেশ্বরীর কাছে নিজের মনস্কামনা জানিয়ে যান ভক্তরা। মনস্কামনা পূরণ হলে মানতপূরণ করতে আসেন। কালীপুজোর দিন এই মন্দিরে আজও বলি প্রথা প্রচলিত রয়েছে।
নয়ন ঘোষ