সোমবার রাতে আতশবাজির প্রদর্শনী দেখতে ভিড় জমান কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ। বিনপুরের পাশেই অবস্থিত হাড়দা গ্রাম। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে হাড়দা লক্ষ্মীপুজো কমিটির পরিচালনায় কয়েক লক্ষ টাকা বাজেটের এই আতশবাজি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। যা এক কথায় ছিল, তাক লাগিয়ে দেওয়ার মত। বাজিগুলির মধ্যে বিশেষভাবে চোখ টেনেছে বিশাল উচ্চতার কদম গাছের বাজি ও চড়কি আতশবাজি। এছাড়াও বিভিন্ন রংবেরঙের তুবড়ি বাজির প্রদর্শন হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদের ‘এই’ গ্রামে হয় না দুর্গাপুজো! উৎসবের রঙ লাগে লক্ষ্মীপুজোয়! মেলা, যাত্রা… আরও কত কী
গত কয়েক বছর এই প্রথায় সামান্য পরিবর্তন করে পরিবেশবান্ধব আতশবাজির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে ঘিরে গত দুই দিন আগে পর্যন্ত কমিটির মধ্যেই ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয় এই বিশাল আয়োজনকে ঘিরে। বৃষ্টি-দুর্যোগ কেটে গেলে সোমবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রামের বিনপুর বাজার থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে হাড়দার ইকো ট্যুরিজম পার্কের সন্নিকট রাস্তার দুই পাশে সুষ্ঠুভাবেই এই প্রদর্শনী সমাপ্ত হয়।
লক্ষ্মীপুজোতেই দীপাবলি
আতশবাজি প্রদর্শনী ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ ছিল উপস্থিত হাজার হাজার দর্শকদের মধ্যে। প্রদর্শনী দেখতে আসা এক দর্শক জানান, ‘প্রত্যেক বছরই আসি এখানে এই আতশবাজি প্রদর্শন দেখার জন্য। এ বছরও এসেছিলাম, অন্যান্য বছরের তুলনায় লোকসংখ্যা বেশি’।
বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার মানুষ আতশবাজি প্রদর্শনী দেখার জন্য ভিড় জমায়, তবে সাবধানতা অবলম্বনে সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল বিনপুর থানার পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। যাতে এই আতশবাজি প্রদর্শনীতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই দিকে লক্ষ্য রাখছিল বিনপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে এসে নিরাপত্তার বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন বেলপাহাড়ির এসডিপিও। এখানে লক্ষ্মীর সঙ্গে পুজিত হন সরস্বতীও। এই পুজো উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত পরিবারের সদস্যরা একজোট হন। এখানে লক্ষ্মীপুজো এক দিনের নয়, টানা পাঁচ দিন ধরে হয়। সাত দিন ধরে চলে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সাহা, মণ্ডলদের পারিবারিক পুজোই এখন সর্বজনীন পুজোর আকার নিয়েছে। এখানে স্থায়ী লক্ষ্মী মন্দির তৈরি হয়েছে। আশ্বিনের কোজাগরী পূর্ণিমাকে ঘিরে হাড়দা গ্রামে পুজো-উৎসব চলে। প্রতিপদের ভোরে পুজো শেষ হয়। কৃষ্ণ তৃতীয়ায় ঘট বিসর্জন হয়। কৃষ্ণপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। তার পর কাঠামো তুলে রাখা হয়। প্রতি বছর একই কাঠামোয় প্রতিমা গড়া হয়।