ইতিহাস বলছে, কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল এই পুজো। কেউ কেউ মনে করেন, রাজা স্বপ্নাদেশ পেয়ে চাষাপাড়ার লেঠেলদের পুজোর দায়িত্ব দেন। আবার অনেকে বলেন, রাজা চাইতেন দেবীর পুজো রাজবাড়ির বাইরেও ছড়িয়ে পড়ুক। মতভেদ থাকলেও ভক্তদের বিশ্বাস এক, বুড়িমার কাছে কিছু চাওয়া মানেই প্রাপ্তি নিশ্চিত।
advertisement
বুধবার সন্ধ্যায় শুরু হয়েছে পুজোর আনুষ্ঠানিকতা। সোনার কেজি কেজি গয়নায় সাজানো হয়েছে বুড়িমাকে। মায়ের অলঙ্কার পরানোর দৃশ্য দেখতে শহরের নানা প্রান্ত থেকে ভিড় জমায় হাজারো ভক্ত। পুজো শেষে নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী বেহারারা দেবীকে কাঁধে তুলে নিয়ে যাবেন কৃষ্ণনগরের কদমতলা ঘাটে। যেখানে বিসর্জনের আগে খুলে নেওয়া হবে সেই সোনার গয়না। এরপর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গয়নাগুলি সংরক্ষণ করা হবে পরের বছরের পুজোর জন্য।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
২৫৩ বছরে পদার্পণ করল কৃষ্ণনগর চাষা পাড়া বারোয়ারি বুড়ি মায়ের পুজো। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা এই ঐতিহ্য, ভক্তদের অগাধ বিশ্বাস ও শহর জুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ। সব মিলিয়ে চাষাপাড়ার বুড়িমা পুজো আজও বাঙালির হৃদয়ে এক অমর উৎসবের নাম।





