কৃষ্ণনগর ট্রাফিক আধিকারিক দেবাশিস মণ্ডল জানিয়েছেন, ২৯ অক্টোবর (বুধবার) সকাল ন’টা থেকে দুপুর বারো’টা পর্যন্ত শহরে কোনও মালবাহী গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে কিছু প্রাইভেট গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। দুপুর বারো’টা থেকে বিকেল তিন’টে পর্যন্ত আংশিকভাবে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। তবে বিকেল তিন’টে থেকে রাত পর্যন্ত শহরের মধ্যে সমস্ত বাস, মালবাহী গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে, পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রাইভেট গাড়ি ছাড়া হতে পারে। ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার), অর্থাৎ পুজোর দিন সকাল আট’টা থেকে শহরের মধ্যে সমস্ত ধরনের যানবাহনের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে যতক্ষণ না পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কৃষ্ণনগরের ‘বুড়িমা’ কবে, কখন গয়না পরবেন? সপ্তমী-দশমীর পুজো, অঞ্জলি, বিসর্জনের সম্পূর্ণ নির্ঘণ্ট
৩১ অক্টোবর (শুক্রবার) ভোর চার’টে থেকে ঘট বিসর্জনের আগ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিতভাবে যানবাহন চলতে পারবে। বিসর্জন শেষ হওয়ার পর বিকেল পাঁচ’টা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে গাড়ি চলাচল চালু থাকবে। তবে বিকেল পাঁচ’টার পর প্রতিমা নিরঞ্জনের কারণে ফের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। একইভাবে, ১ নভেম্বর বিকেল পাঁচ’টা থেকে প্রতিমা নিরঞ্জন উপলক্ষে শহরের মধ্যে সমস্ত গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এছাড়াও, পুজোর দিনগুলিতে বাস চলাচলের রুটেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। রানাঘাটগামী বাসগুলি ছাড়বে পালপাড়া মোড় থেকে, নবদ্বীপ ও নাকাশীপাড়া গামী বাসগুলি ছাড়বে গভর্নমেন্ট কলেজ মাঠ বা পিডব্লিউডি মোড় থেকে, আর হাঁসখালি রুটের বাসগুলি ছাড়বে পাণ্ডব মোড় থেকে। তবে করিমপুর রুটে কোনও নো-এন্ট্রি জোন না থাকায় সেই দিকের বাস চলাচলে অসুবিধা হবে না। ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে পুজোর দিনগুলিতে বিকল্প রাস্তায় চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে সহযোগিতা করা হবে।






