কথিত আছে, একসময় এলাকার চর্মকারদের দুর্গা পুজোয় অংশ নিতে দেওয়া হতনা। এমনকি তাঁদের হাতে করা হত না অর্থের আদান প্রদান। সেই কারণেই পুজোর ব্যস্ততা কাটিয়ে চর্মকাররা সিদ্ধান্ত নেন লক্ষ্মী পুজো করার। যে লক্ষ্মী পুজো ছাপিয়ে যাবে বড় বড় দুর্গা পুজোকেও। সেই থেকে শুরু। ১৮৩ বছর পার করে ছোট এক মূর্তি থেকে আজ তৈরি হয়েছে সুবিশাল মন্দির।
advertisement
মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি মানুষ নিজেদের প্রতিদিনের রোজগারের একটি অংশ তুলে রাখতেন লক্ষ্মী পুজোর জন্য। মন্দির প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে সাজসজ্জা কিংবা বিরাট বিগ্রহ স্থাপন করা, নিজেদের গাঁট থেকে খরচ করেই তৈরি হয়েছে ১৮৩ বছরের ইতিহাস। পুজোর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পর থাকছে নরনারায়ন সেবা। ব্যস্ত রাস্তার ঠিক পাশেই জাঁকজমকপূর্ণ লক্ষ্মী পুজো প্রত্যক্ষ করবেন বাঁকুড়ার মানুষ। তবে পুজো শুরু হওয়ায় ইতিহাস যাই হোক না কেন, নূতনচটি রুইদাস ষোলআনার লক্ষ্মী পুজো উপভোগ করতে পারেন সকলে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দুর্গাপুজো শেষ হলেও লক্ষ্মী পুজো পর্যন্ত বাঙালির পুজোর রেশ অব্যাহত থাকে। বাড়িতে বাড়িতে চলে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা। সেই ভাবে বাঁকুড়া শহরের অন্যতম বড় লক্ষ্মী পুজো হল নূতনচটি রুইদাস ষোলআনা লক্ষ্মী পুজো। একসময় যাঁরা চর্মকারদের দুর্গা পুজোয় অংশ নিতে দিতেন না, তাঁরাও বর্তমানে অংশ নেন এই লক্ষ্মী পুজোতে।