পূর্ব বর্ধমানের মির্জাপুরের দাস পরিবারের পূর্বপুরুষ তুলসী চরণ দাসের ছিল হাতে ভাজা মুড়ির ব্যবসা। ব্যবসায় লক্ষ্মী লাভের আশায় আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে তিনি শুরু করেছিলেন লক্ষ্মীপুজো। মেশিনে ভাজা মুড়ি দৌরাত্ম্যে কমেছে হাতে ভাজা মুড়ির চল। আগে নিজের হাতে ধান সিদ্ধ করে অন্যের মিল থেকে ধান ভাঙিয়ে চাল তৈরি করে আনতেন তিনি। সেখান থেকে ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছেন নিজেদের রাইসমিল। তাই প্রথম দিকে ছোট করে পুজো হলেও, বর্তমানে বেড়েছে পুজোর বহর, জাঁকজমক।
advertisement
আরও পড়ুন : জুতো সারিয়ে লাভ, সেই টাকা জমিয়ে লক্ষ্মী পুজো! তিল তিল করে গড়া দেবীর মন্দির, এখন দেখলে হাঁ হয়ে যাবেন
পরবর্তীতে ভাগ হয়ে যায় পরিবার এবং পৃথক পৃথক ভাবে লক্ষ্মী পুজো শুরু করেন দাস পরিবারের বর্তমান সদস্য তথা দুই ভাই চিত্তরঞ্জন দাস ও সত্যরঞ্জন দাস। সেই থেকেই এলাকায় দুই ভাইয়ের পুজো নামে পরিচিত দাস পরিবারের এই লক্ষ্মীপুজো। তবে দাস পরিবারে আগে শুধু লক্ষ্মীপুজো হলেও বর্তমানে চিত্তরঞ্জন দাসের বাড়িতে হয় লক্ষ্মীনারায়ণের পুজো। তার পিছনেও রয়েছে এক অনন্য কাহিনী। পরিবারের বর্তমান সদস্য জগদ্ধাত্রী দাস বলেন, পরিবারের রীতি মেনে পূর্বে শুধু লক্ষ্মীপুজো হলেও বর্তমানে লক্ষ্মীনারায়ণ পুজো হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দাস বাড়ি বর্তমান প্রজন্মের দুই সদস্য সুমনা দাস ও পিয়ালি দাস জানান, সারা বছর ধরে লক্ষ্মীপুজোর এই চারটে দিনের জন্য অপেক্ষায় থাকেন পরিবারের সকল সদস্যরা। আত্মীয়স্বজনদের সমাগমে এইদিনগুলি আনন্দ ও হৈ-হুল্লোড় করে কেটে যায়। দুই বাড়িরই পুজোর প্রস্তুতি থেকে ভোগ রান্না পরিবারের সকল সদস্যরা মিলেই করা হয়। শেষদিন হয় অন্নকূটের আয়োজন। বর্তমানে হাতে ভাজা মুড়ির ব্যবসা এখন না থাকলেও, যেহেতু তাদের ধান নিয়েই ব্যবসা, তাই ৫০ বছরের পুরনো সেই রীতি-নীতি আজও মেনে চলা হয় দাস পরিবারে।