মেদিনীপুর জেলার অত্যন্ত ব্যস্ততম শহর খড়গপুর। এখানে রয়েছে একাধিক ভাষাভাষীর মানুষ। রয়েছে পরিচিত রেলস্টেশন খড়গপুর। স্টেডিয়াম থেকে একাধিক বিদ্যালয় এমনকি দেশের গৌরব আইআইটি খড়্গপুর রয়েছে এই শহরে। তবে সাধারণ মানুষ থাকতে চাইছেন না মিনি ইন্ডিয়াতে। তারা চাইছেন অন্যত্র নিজেদের বাসস্থান গড়ে তুলবে।
আরও পড়ুনঃ মেঝেতে পা দিলেই শরীর কেঁপে ওঠে? শীতে রোজ করুন এই কাজ, হিটার ছাড়াই মেঝে হবে একেবারে গরম
advertisement
তবে কি আগামীতে ফাঁকা হয়ে যাবে রেল শহর? কী এমন ঘটছে এখানে? বেশ প্রাচীন শহর খড়গপুর। এখানেই প্রথমে বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে পরে সাউথইস্টার্ন রেলওয়ে নামে প্রকাশ পেয়েছে খড়গপুর স্টেশন। খড়্গপুরে রেলওয়ে স্টেশনকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বসতি। সারা দেশের একাধিক সম্প্রদায়ের, ভাষাভাষীর মানুষের বসবাস রেল শহর খড়্গপুরে। স্বাভাবিকভাবে তাই খড়গপুরকে বলা হয় ‘মিনি ইন্ডিয়া’। কিন্তু মানুষ আর থাকতে চাইছে না, এই শহরে। কারণটা খুব সাধারণ হলেও প্রতিক্রিয়া ভয়াবহ।
ধীরে ধীরে দূষণ বাড়ছে রেল শহরে। শহরের উপকণ্ঠে থাকা কারখানা থেকে প্রতিদিন ছড়াচ্ছে দূষণ। ঘরের ছাদ, ব্যালকনি, উঠোন এমনকি গাছের পাতাতেও মোটা পুরু স্তর হিসেবে জমে গিয়েছে দূষিত পদার্থ।
আরও পড়ুনঃ বাংলার ‘অ্যামাজন’ কোথায় জানেন? প্রতিবার ভিড় জমে শীতে, এবারে হতাশ পর্যটকরা! ব্যাপক সমস্যা পর্যটনে
প্রসঙ্গত, শহরের একটি কারখানা থেকে এই দূষিত পদার্থ বের হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে গোটা খড়গপুর জুড়ে। যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হচ্ছে সিলিকন অক্সাইড বা অভ্র, যা অত্যন্ত ক্ষতিকর মানব দেহের জন্য। ত্বকের নানা সমস্যা এমনকি ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে এই অভ্রের কারণে। স্বাভাবিকভাবে নিত্যদিন বাড়ছে অসুস্থতার পরিমাণ। কারখানা সংলগ্ন একাধিক ওয়ার্ডে এই মাত্রা বেশি। স্বাভাবিকভাবে এমন দূষিত পরিস্থিতিতে শহর ছেড়ে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে অনেকের। উদ্বিগ্ন চিকিৎসকেরা। তবে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে পরিস্থিতির উপর বিশ্বাস নজরদারি রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে খড়গপুর পুরসভার তরফে।
তবে নিত্যদিন বাড়ছে অসুস্থতার পরিমাণ। বাড়ছে রোগ অসুখের সংখ্যাও। শিশু থেকে বৃদ্ধ বাদ পড়ছে না কেউই। বাড়ি জুড়ে মোটা আস্তরণ বসেছে দূষিত পদার্থের। রীতিমতো ভয়ের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে রেল শহরে। কবে এই সমস্যার সমাধান মিলে সেটাই এখন দেখার।
রঞ্জন চন্দ